উড়োজাহাজে কারো মৃত্যু হলে ৬টি করণীয়

পবিত্র গ্রন্থ কোরআন মাজিদের একটি আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।’ শুধু কোরআনেই নয়, সব ধর্ম গ্রন্থেই মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। এই মৃত্যু কার কখন কোথায় হবে, তা আমরা কেউ জানি না। মৃত্যু সুখের বিছানায়, বাসাবাড়ি, যানবাহনে কিংবা আকাশপথেও হতে পারে। যদি উড়োজাহাজে ভ্রমণের সময় কারো মৃত্যু হয়, তখন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের কী করা উচিত? চলুন জেনে নিই, কিছু জরুরি তথ্য।
১. যাত্রীর আকস্মিক মৃত্যু
যদি ফ্লাইটটি মাঝ আকাশে থাকা অবস্থায় কোনো যাত্রী গুরুতর অসুস্থ হন ও ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট যদি বুঝতে পারেন ওই যাত্রীকে বাঁচানো কোনোভাবেই আর সম্ভব নয়, তবে ফ্লাইটটির ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তখন উচিত হবে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া।
২. মেডিকেল টিমের সঙ্গে যোগাযোগ
ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় যেন উড়োজাহাজে কেউ অসুস্থ হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে পারেন। আর বিমানবন্দরগুলোতেও একটি মেডিকেল টিম ২৪ ঘণ্টা দায়িত্বে থাকেন যেন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা যোগাযোগ করতে পারেন। তাই ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের প্রথম কাজ এমন পরিস্থিতিতে মেডিকেল টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা।
৩. মরদেহটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া
যদি মাঝ আকাশে কারো মৃত্যু হয়, তবে ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের কাজ হলো মরদেহটি অন্য যাত্রীদের থেকে আলাদা জায়গায় সরিয়ে নেওয়া। কারণ, মরদেহটি দেখলে অন্য যাত্রীরা ভয় পেতে পারেন।
৪. অন্য জায়গা না থাকলে কী করতে হবে?
যদি মরদেহটি অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার মতো পর্যাপ্ত জায়গা না থাকে, তবে মরদেহটিকে তাঁর সিটেই শুইয়ে দিতে হবে। সিটের ওই মরদেহটির ওপর একটি কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
৫. পাইলটের মৃত্যু হলে সহকারী পাইলট দায়িত্ব নেবেন
কোনো কারণে মাঝ আকাশে পাইলটের মৃত্যু হলে তাঁর পাশে থাকা পাইলট সঙ্গে সঙ্গে বিমানটি চালানোর দায়িত্ব নিয়ে নেবেন। তারপর বিষয়টি কন্ট্রোলরুমে জানাবেন।
৬. বিশেষ কম্পার্টমেন্টে মরদেহ রাখা
সিঙ্গাপুরের কিছু উড়োজাহাজে মরদেহ রাখার জন্য একটি বিশেষ কম্পার্টমেন্ট থাকে। কেউ মারা গেলে মরদেহটি সেখানে রাখতে হবে। কম্পার্টমেন্টটি এমনভাবেই বানানো হয় যেন অনায়াসে একটি মরদেহ রাখা যায়।