প্রতিশোধের লড়াইয়ে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালের পথে আফগানিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতে ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথম দেখায় আফগানিস্তানকে হারায় পাকিস্তান। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিশোধ নিয়েই যেন ফাইনালের পথ অনেকটা সহজ করল রশিদ খানের দল। তবে অনেকটা অনুমেয় ছিল যে এশিয়া কাপের আগে প্রস্তুতির লড়াইয়ের সিরিজটায় ফাইনাল খেলবে পাকিস্তান-আফগানিস্তান।
ত্রিদেশীয় সিরিজের দ্বিতীয় দেখায় গতকাল (২ সেপ্টেম্বর ) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে ১৮ রানে হারিয়েছে আফগানিস্তান। টসে জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৯ রান তোলে আফগানিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৫১ রানেই থেমে যায় পাকিস্তানের ইনিংস।
এই জয়ে দুই দলেরই তিন ম্যাচ শেষে সমান ৪ পয়েন্ট। তবে রান রেটে এগিয়ে থেকে শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তান। এদিকে দুটি ম্যাচে খেলে দুটিতেই হেরেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। স্বাগতিকরা তাই টেবিলের তলানিতেই রয়েছে।
শারজায় শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১০ রানেই প্রথম উইকেট হারায় আফগানিস্তান। ৮ রান করে ফিরেন ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। এরপর আফগানিস্তানের বড় সংগ্রহের ভিতটা গড়ে দেয় দ্বিতীয় উইকেটের জুটি। সেদিকউল্লাহ অটল ও ইব্রাহিম জাদরানের ৮০ বলে ১১৩ রানের জুটি গড়েন। জাদরান ৪৫ বলে ৮ চার ও এক ছক্কায় ৬৫, আর সেদিকউল্লাহ সমান সংখ্যক বল খেলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ৬৪ রান।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় আফগানরা। দুজন বাদে আর কেউ দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। ভালো শুরুর পরও তাই ১৬৯ রানেই থামে আফগানদের ইনিংস। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন পেসার ফাহিম আশরাফ।
১৭০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৮ রানেই প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। ওপেনার সাইম আইয়ুব আউট হওয়ার আগে রানের খাতাই খুলতে পারেনি। তার কিছুক্ষণ পর ১৮ রান করে বিদায় নেন আরেক ওপেনার শাহিবজাদা ফারহান। দুজনকেই ফেরান পেসার ফজলহক ফারুকি।
এরপর পাকিস্তানের ব্যাটাররা উইকেটে থিতু হয়ে বড় জুটি গড়ার চেষ্ট করলেও আফগান স্পিানরদের দাপটে টিকতে পারেনি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। অভিজ্ঞ ব্যাটার ফখর জামান ২৫, সালমান আলি আগা ২০, মোহাম্মদ নওয়াজ ১২, ফাহিম আশরাফের ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান।
শেষদিকে হারিস রউফের বিধ্বংসী ইনিংসে হারের ব্যবধান কিছুটা কমায় পাকিস্তান। ১৬ বলে ৪টি ছক্কায় ৩৪ রান করে রউফ। তিনি অপরাজিত থাকলেও পাকিস্তান থেমে যায় ৯ উইকেটে ১৫১ রানে।
আফগান বোলারদের মধ্যে ফারুকি, রশিদ খান, মোহাম্মদ নবি ও নুর আহমদ ২টি করে উইকেট পেয়েছেন। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন ইব্রাহিম জাদরান।