‘ইংল্যান্ডে অন্য আমিরকে দেখা যাবে’
ইংল্যান্ডের কথা কোনোদিন ভুলতে পারবেন না মোহাম্মদ আমির। লর্ডসের কথা তো নয়ই। ২০১০ সালে লর্ডসই কেড়ে নিয়েছিল তাঁর জীবনের সব আলো। ঐতিহ্যবাহী মাঠটিতে স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে শুধু পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হওয়াই নয়, কারাগারেও যেতে হয়েছিল পাকিস্তানের এই প্রতিভাবান বাঁ-হাতি পেসারকে। ছয় বছর পর সেই ইংল্যান্ড সফরে পাকিস্তানের পেস আক্রমণের নেতৃত্বভার আমিরের কাঁধে। ইংল্যান্ডের পথে রওনা হওয়ার আগে ঘোষণার সুরে তিনি জানিয়েছেন, ক্রিকেটের আদিভূমিতে বদলে যাওয়া, ভিন্ন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন আমিরকে দেখতে পাওয়া যাবে।
ইংল্যান্ডের সঙ্গে চারটি টেস্ট, পাঁচটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি খেলবে পাকিস্তান। ১৪ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া প্রথম টেস্টের ভেন্যু লর্ডস। সেই লর্ডস, যেখানে ২০১০ সালের আগস্টে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন আমির। এবার অতীতের সব দুঃসহ স্মৃতি মুছে ফেলতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তিনি। ক্রিকেটের সবচেয়ে বিখ্যাত ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে আমির বলেছেন, ‘এবার ইংল্যান্ডে বোলার হিসেবে নতুন একজন আমিরকে দেখতে পাবেন আপনারা। তরতাজা চিন্তাধারার নতুন ব্যক্তিত্বকে খুঁজে পাবেন। আমি অনেক কঠিন সময়ের ভেতর দিয়ে গিয়েছি। সেটা অবশ্য আমাকে দারুণ শিক্ষা দিয়েছে। এখন আমি আগের চেয়ে অনেক দৃঢ় মানসিকতার অধিকারী। বোলার হিসেবে আমি প্রতিদিন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি। আমি চাই প্রতিটা পদক্ষেপেই একটু একটু করে উন্নতি করতে।’
অনেকের হয়তো জানা নেই, ২০১০ সালের ইংল্যান্ড সফরে পাকিস্তানের সেরা বোলার ছিলেন আমির। ১৮.৩৬ গড়ে ১৯ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান জোনাথন ট্রটের সঙ্গে যৌথভাবে সিরিজের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ৮৪ রানে ছয় উইকেট নিয়ে সবচেয়ে কম বয়সী ক্রিকেটার হিসেবে লর্ডসের অনার্স বোর্ডে নাম লেখানোর কৃতিত্বও তাঁর।
এবারো জ্বলে ওঠার প্রত্যয় আমিরের কণ্ঠে, ‘আমি কয়েক মাস আগে মাঠে ফিরেছি ঠিকই, তবে টেস্ট ক্রিকেটই হলো আসল ক্রিকেট। টেস্টে খেলার জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। এটাই হতে যাচ্ছে আমার আসল প্রত্যাবর্তন। আমি বলছি না যে আমার অতীত ভুলে গেছি। ২০১০ সালের অনেক খারাপ মুহূর্ত আজো আমার স্মৃতিতে বহমান। তবে আমি এখন ভালো পারফর্ম করতে চাই। লর্ডসের অনার্স বোর্ডে আবারো আমার নাম লেখাতে চাই। সফরটা ইতিবাচকভাবে দেখছি। আমি চাই আমার দুঃখজনক অতীতকে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দিয়ে ঢেকে দিতে।’