সেই ইংল্যান্ডেই টেস্টে ফিরবেন আমির?
২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে কুখ্যাত স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছিলেন মোহাম্মদ আমির। নিষিদ্ধ হয়েছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে। ইংল্যান্ডের জেলেও কাটাতে হয়েছিল তিনটি মাস। তবে কাকতালীয় ব্যাপার হলো, এত কিছুর পর আবার সেই ইংল্যান্ডের মাটিতেই আমির শুরু করতে পারেন টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ইনিংস। আগামী জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া ইংল্যান্ড সফরের জন্য ঘোষিত দলে আমিরকে জায়গা দিয়েছেন পাকিস্তানের নির্বাচকরা।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমিরের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়েছিল গত বছরের সেপ্টেম্বরে। এ বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ড সফর দিয়ে আমির ফিরেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। পাকিস্তানের জার্সি গায়ে খেলেছেন এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে এখনো ফেরা হয়নি পাকিস্তানের এই বাঁহাতি পেসারের। সেই সুযোগটাও তিনি পেয়ে যেতে পারেন ইংল্যান্ড সফরে।
শেষ মুহূর্তে ইনজুরি বা ভিসা-সংক্রান্ত কোনো জটিলতা তৈরি না হলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আমিরের টেস্ট সিরিজ খেলা অনেকটাই নিশ্চিত। আর তখন আমিরের টেস্ট প্রত্যাবর্তনটা হবে লর্ডসে। ‘ক্রিকেটের মক্কা’ হিসেবে পরিচিত ঐতিহ্যবাহী এই স্টেডিয়ামেই আমির খেলেছিলেন নিজের শেষ টেস্টটি। ২০১০ সালে লর্ডস টেস্টেই তিনি জড়িয়েছিলেন স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে। ছয় বছর পর এবার সেই লর্ডসেই আবার নতুন করে শুরু হতে পারে আমিরের।
আগামী ১৪ জুলাই থেকে শুরু হবে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ডের চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এই সিরিজের পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচটি ওয়ানডে খেলবে পাকিস্তান।
ইংল্যান্ড সফরে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেবেন মিসবাহ-উল-হক। আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ইউনিস খানও জায়গা পেয়েছেন পাকিস্তান দলে। দলে ফিরেছেন লেগস্পিনার ইয়াসির শাহ। শৃঙ্খলাজনিত কারণে দল থেকে বাদ পড়েছেন আহমেদ শেহজাদ।
পাকিস্তানের ইংল্যান্ড সফরের দল : মিসবাহ-উল-হক, মোহাম্মদ হাফিজ, শান মাসুদ, সামি আসলাম, আজহার আলী, ইউনিস খান, আসাদ শফিক, ইফতেখার আহমেদ, সরফরাজ আহমেদ, মোহাম্মদ রিদওয়ান, ইয়াসির শাহ, জুলফিকার বাবর, মোহাম্মদ আমির, ওয়াহাব রিয়াজ, রাহাত আলী, সোহেল খান ও ইমরান খান।