বাংলাদেশের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সমবেদনা
ওয়ানডেতে সমীহজাগানো শক্তি হয়ে উঠলেও টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে থাকা দল। তার অন্যতম কারণ অনভিজ্ঞতা। একটি বা দুটি টেস্ট ম্যাচই অনেক সমৃদ্ধ করতে পারে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। আর তা যদি হয় অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে, তাহলে তো কথাই নেই। কিন্তু ক্রিকেট-বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তির মুখোমুখি হওয়ার দারুণ সুযোগ খুব কাছে এসেও হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার আফসোসে পুড়তে হচ্ছে বাংলাদেশকে। নিরাপত্তাজনিত কারণে সফর স্থগিতের ঘোষণা যে বাংলাদেশের জন্য কত বড় আঘাত, তা বুঝতে পারছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেমস সাদারল্যান্ডও। বাংলাদেশের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ভবিষ্যতে দুই টেস্টের সিরিজে অংশ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
প্রায় দেড় দশক ধরে টেস্ট খেললেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এখন পর্যন্ত মাত্র চারটি টেস্ট খেলতে পেরেছে বাংলাদেশ। টেস্ট সিরিজ খেলতে একবারই বাংলাদেশে এসেছিল অস্ট্রেলিয়া, ২০০৬ সালে। এবার বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের নয় বছরের অপেক্ষার অবসান হতে পারত। কিন্তু তার বদলে দুই টেস্টের সিরিজটি আপাতত স্থগিত। সে জন্য বাংলাদেশের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে সাদারল্যান্ড বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জন্য এটা ভীষণ হতাশাজনক খবর। আমরা তাদের হতাশা বুঝতে পারছি। বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গন তো বটেই, বাংলাদেশ সরকার ও দেশটির ক্রিকেটভক্তদের জন্যও এটা হতাশাজনক ঘটনা। সিরিজটার জন্য তারা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছিল।’
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে সিএর প্রধান নির্বাহীর মন্তব্য, ‘বাংলাদেশের মাটিতে আমরা সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলাম নয় বছর আগে। এতেই বোঝা যায় এই সফরকে ঘিরে বাংলাদেশের কতটা আগ্রহ ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের দলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে সিরিজটাকে ঘিরে বাংলাদেশের প্রত্যাশা একটু বেশিই ছিল। আমরাও এই সফরের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু ভীষণ দুঃখের সঙ্গে সফর স্থগিতের ঘোষণা দিতে হয়েছে। আমরা সবাই জানি যে বাংলাদেশ ক্রিকেট-আবেগে পরিপূর্ণ এক দেশ। আর তাই আমরা বুঝতে পারছি এটা বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের ভীষণ দুঃখ দিয়েছে।’
তবে শুধু সহানুভূতি নয়, বাংলাদেশে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন সাদারল্যান্ড, ‘আশা করি শিগগিরই আমরা বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামতে পারব। সবার আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে বসে সফরটা কবে নাগাদ হতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা করতে চাই আমরা।’
তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী আশ্বাস দিলেও দুই টেস্টের সিরিজটি নিয়ে অনিশ্চয়তা দূর হচ্ছে না। নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত একটানা খেলতে হবে অস্ট্রেলিয়া দলকে। নভেম্বরে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে শুরু হবে অস্ট্রেলীয়দের ব্যস্ত সূচি।