শনিবার বিসিবি একাদশের বিপক্ষে তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে থাকার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। এরপর মিরপুর ও চট্টগ্রামে দুটি টেস্ট ম্যাচ। জমজমাট লড়াই দেখার প্রত্যাশায় বুক বেঁধেছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু ‘সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকি’র কারণে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফর ‘আপাতত’ স্থগিত। বাংলাদেশের ক্রিকেট-ভক্তদের জন্য এটা যে কত বড় বেদনার, তা বুঝতে পারছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররাও। সে জন্য দুঃখও প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ।

মাইকেল ক্লার্কের অবসরের পর নেতৃত্বভার এখন স্মিথের কাঁধে। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশই হতে পারত তাঁর প্রথম পূর্ণাঙ্গ সফর। কিন্তু এমন রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার সামনে প্রশ্নচিহ্ন পড়ে যাওয়ায় স্মিথ বেশ হতাশ, ‘এটা আমাদের জন্য একটা দুর্দান্ত সুযোগ ছিল। নতুন চেহারার দল আর নতুন খেলোয়াড়দের নিয়ে আমরা সেখানে খেলার জন্য উদগ্রীব ছিলাম।’ বাংলাদেশের মানুষের প্রতি তাঁর কণ্ঠে যথেষ্ট সমবেদনা, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট-ভক্তদের জন্য এটা সত্যিই হতাশাজনক। আমি তাঁদের দুঃখ বুঝতে পারছি। তাঁরা আমাদের আসার অপেক্ষায়, আমাদের খেলা দেখার অপেক্ষায় ছিলেন। আশা করি একসময় সেখানে যাওয়ার সুযোগ পাব।’

বৃহস্পতিবার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেমস সাদারল্যান্ড জানিয়ে দেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে বাংলাদেশ সফর স্থগিত করা ছাড়া তাঁদের আর কোনো উপায় নেই। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও বাংলাদেশ সরকার অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তাতে আশ্বস্ত হতে পারেনি সিএ।

বাংলাদেশ সফর স্থগিত হওয়ায় স্মিথদের পরবর্তী ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ নিউজিল্যান্ড সিরিজ। নভেম্বরে তিন টেস্টের সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া যাবে কিউইরা। তার আগে অবশ্য ঘরোয়া ওয়ানডে টুর্নামেন্ট ম্যাটাডোর কাপে অংশ নেবেন অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ক্রিকেটাররা। ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া এই প্রতিযোগিতায় স্মিথ নেতৃত্ব দেবেন নিউ সাউথ ওয়েলসকে।