অ্যাশেজের তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ড আট উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে বোলারদের দাপটে। ব্যাট হাতে জো রুটও রেখেছেন ভালো অবদান। বার্মিংহ্যামের এজবাস্টনে প্রথম ইনিংসে করেছেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৩ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৮ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়েই মাঠ থেকে ফিরেছেন। কিন্তু দলের সাফল্যে বড় অবদান রাখলেও ‘ইচ্ছেমতো’ সাফল্য উদযাপন করার উপায় নেই রুটের। কারণ অদ্ভূত এক নিষেধাজ্ঞা।

২০১৩ সালের জুনে এজবাস্টনেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। ম্যাচের পর ওয়াকঅ্যাবাউট নামের একটি বারে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন রুট। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে ওয়ার্নার ঘুষিই মেরে বসেছিলেন রুটকে। এই অপরাধের শাস্তি হিসেবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আর কোনো ম্যাচে তো বটেই, ওই টুর্নামেন্ট শেষে অ্যাশেজের প্রথম তিন টেস্টেও ওয়ার্নারকে দলে নেয়নি অস্ট্রেলিয়া। 

এবার যেন তেমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য আগে থেকেই সতর্ক ইংল্যান্ড। অ্যাশেজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার পর রুট-ওয়ার্নার প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে হাস্যোজ্জ্বল কুক বলেছেন, ‘জয় উদযাপনে আমরা একটা ব্যাপারে অবশ্যই জোর দেব। তা হলো জো রুটের ওয়াকঅ্যাবাউটে যাওয়া নিষিদ্ধ করা।’ 

এই রসিকতায় অধিনায়কের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন স্টুয়ার্ট ব্রডও। টুইটারে রুটের একটি ছবি পোস্ট করে ইংল্যান্ডের এই পেসার লিখেছেন, ‘কেউ দুশ্চিন্তা করো না। আজ রাতে আমি ওকে ওয়াকঅ্যাবাউট থেকে দূরে রাখব।’

ইংল্যান্ডের এসব রসিকতা অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের বুকে শেল হয়ে বেঁধারই কথা।