নেইমারকে নিয়ে বিপাকে ব্রাজিল
কলম্বিয়ার কাছে হারার দুঃখ এত সহজে মুছে যাওয়ার নয়। তবে সেই দুঃখ বুকে চেপেই নেইমারকে হারানোর আতঙ্কে ভুগতে হচ্ছে ব্রাজিলকে। ম্যাচ শেষে লাল কার্ড দেখা বার্সেলোনা তারকা কয় ম্যাচ নিষিদ্ধ হবেন, তা নিয়েই আতঙ্কিত ব্রাজিলিয়ানরা।
দুঙ্গার দ্বিতীয় দফা কোচিংয়ে টানা ১১ জয় নিয়ে কোপা আমেরিকায় কলম্বিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল। ১-০ গোলে হেরে যাওয়ার লজ্জাই শুধু নয়, পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের নেইমারের লাল কার্ডের যন্ত্রণাতেও বিদ্ধ হতে হচ্ছে। বিরতির ঠিক আগে হ্যান্ডবল করে হলুদ কার্ড দেখেছিলেন নেইমার। টুর্নামেন্টের প্রথম দুই ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখায় এমনিতেই ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে খেলতে পারবেন না এই ফরোয়ার্ড। লাল কার্ড তাঁর শাস্তি আরো বাড়াবেই।
খেলা শেষ হওয়ার পর ক্ষুব্ধ, বিরক্ত নেইমারের লাথি মারা বল গিয়ে আঘাত করে পাবলো আরমেরোকে। ব্যাপারটা ভালো লাগেনি আরমেরোর সতীর্থ কার্লোস বাক্কার। নেইমারের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন তিনি। চিলিয়ান রেফারি এনরিকে ওসেস লাল কার্ড দেখান দুজনকেই।
খেলা শেষে গণ্ডগোলে জড়িয়ে লাল কার্ড দেখায় কঠিন শাস্তির সামনে নেইমার। ভেনেজুয়েলা ম্যাচের পরও আরো দুই ম্যাচ মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে তাঁকে। আর তাহলে ফাইনালের আগে নেইমারকে পাবে না ব্রাজিল। অবশ্য যদি ফাইনালে উঠতে পারে!
একে তো কলম্বিয়ানদের কাছে দীর্ঘ দুই যুগ পর হার, তার ওপরে লাল কার্ডের দুঃখ। নেইমারের মনে তাই ক্ষোভের আগুন। প্রথমার্ধের শেষ দিকে রেফারি ওসেসের দেওয়া হলুদ কার্ডের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘নিয়ম যেন সব সময় আমার বিরুদ্ধে যায়। সে সময় ভারসাম্য হারিয়ে ফেলায় বল আমার হাতে আঘাত করে। ব্যাপারটা ইচ্ছাকৃত ছিল না। কর্তৃপক্ষ আমাদের বিরুদ্ধে বাঁশি বাজানোর জন্য ম্যাচে একজন দুর্বল রেফারিকে দিয়েছিল।’
ব্রাজিলের কোচ দুঙ্গাও রেফারির সমালোচনায় মুখর, ‘তিনিই খেলার মধ্যে গণ্ডগোল নিয়ে আসার উসকানি দিয়েছেন। তার পর তো খেলা শেষে আমরা দুঃখজনক দৃশ্য দেখলাম।’
নেইমারের বার্সা-সতীর্থ দানি আলভেজ তো প্রত্যেক লাতিন আমেরিকানকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন, ‘রেফারিদের নিজেদের তারকা ভাবার চিন্তা বন্ধ করতে হবে। তাঁরা কোনো তারকা নন। তাঁদের কাজ হলো খেলা নিয়ন্ত্রণ করা। আমরা অবশ্য দক্ষিণ আমেরিকায় এ ধরনের ঘটনায় অভ্যস্ত। এখানে প্রত্যেকেই যেন ব্রাজিলের বিরুদ্ধে।’