ফলাফলটা উল্টো হওয়ার আশাতেই মাঠে-টিভিসেটের সামনে বসেছিলেন লাখ লাখ ব্রাজিলভক্ত। কিন্তু ম্যাচ শেষে একরাশ হতাশা স্থান করে নিয়েছে তাদের চোখে-মুখে। জনপ্রিয়তা ও শক্তিমত্তায় তুলনামূলক পিছিয়ে থাকা কলম্বিয়ার কাছে ব্রাজিল হেরেছে ১-০ গোলে। আর এর সঙ্গে যোগ হয়েছে দলের উইঙ্গার নেইমারের লাল কার্ডের হতাশা।

চিলির সান্তিয়াগোর এস্তাদিয়ো মনুমেন্টাল ডেভিড আরেল্লানো স্টেডিয়ামে কোপা আমেরিকার ম্যাচটিতে শুরু থেকেই কোণঠাসা ছিল ব্রাজিল। ধীরে ধীরে আক্রমণে যেতে থাকে কলম্বিয়া। ফলটা মেলে ৩৬ মিনিটে। জেফারসনের দেওয়া দুর্দান্ত এক পাস থেকে গোল করেন ডিফেন্ডার জেসন মুরিল্লো।urgentPhoto

গত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল-কলম্বিয়া। সে ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর কলম্বিয়া হেরেছিলে ব্রাজিলের কাছে। বিশ্বকাপের পর দুঙ্গার দ্বিতীয় দফা কোচিংয়ের প্রথম ম্যাচেই ব্রাজিল ১-০ গোলে হারিয়ে দেয় কলম্বিয়াকে। সেই ম্যাচে দুঙ্গার দলের জয়সূচক গোলদাতা ছিলেন নেইমার।

কোপা আমেরিকায় ব্রাজিল-কলম্বিয়া ম্যাচের আগে বিশ্বকাপ প্রসঙ্গ ঘুরেফিরে চলেই আসে। পেরুকে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু করা ব্রাজিল কলম্বিয়াকে হারাতে পারলে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলবে। প্রথম ম্যাচে ভেনেজুয়েলার কাছে হেরে যাওয়ায় কোপা আমেরিকার শুরুটা একদমই ভালো হয়নি কলম্বিয়ার। ব্রাজিলের কাছেও হার মানলে লাতিন আমেরিকার সেরা প্রতিযোগিতা থেকে তাদের বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যেত। কিন্তু এ ম্যাচে জয় দিয়ে দুর্দান্তভাবে খেলায় ফিরেছে কলম্বিয়া।

ম্যাচ শেষে ব্রাজিলের হারের সঙ্গে যোগ হলো ধ্স্তাধস্তির লজ্জা। সম্ভবত হারের হতাশাটা মানতে পারেননি ব্রাজিলের স্ট্রাইকিংয়ের প্রাণভোমরা নেইমার। রেফারি ম্যাচ শেষের বাঁশি ফু দেওয়ার পরই বলে লাথি দেন নেইমার। প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের গায়ে বল লাগলে তিনি কাতরাতে থাকেন। এ সময় কলম্বিয়ার এক খেলোয়াড় নেইমারকে ধাক্কা দিলে দুই দলের ফুটবলারদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। অবশ্য খেলোয়াড়, কর্মকর্তা ও রেফারির হস্তক্ষেপে সেটি আর বেশি দূর এগোয়নি।