ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মঈন আলীর অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে সমতা আনল সফরকারী ইংল্যান্ড। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে ইংল্যান্ড ৩৪ রানে হারায় স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ব্যাট হাতে ২৮ বলে ঝড়ো ৬৩ রান করার পর বল হাতে ২৮ রানে ২ উইকেট নেন মঈন। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ এখন ২-২-এ সমতা আনল ইংল্যান্ড।

প্রথম তিন ম্যাচ শেষে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ খেলতে নামে ইংল্যান্ড। সিরিজে টিকে থাকতে হলে জয় ছাড়া কোনো বিপল্প ছিল না ইংলিশদের। এমন ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। শুরুটা ভালো না হলেও দ্বিতীয় উইকেটে ৫৭ বলে ৮৫ রানের জুটি গড়েন জেসন রয় ও জেমস ভিন্স। রয় ৪২ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫২ রান করেন। ২৬ বলে ৩৪ রান করেন ভিন্স।

৯৭ রানে ৩ উইকেট পতনের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন চার নম্বরে ব্যাট হাতে নামা মঈন। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি তুলেন নেন তিনি। হাফসেঞ্চুরির আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার জেসন হোল্ডারের ১৮তম ওভারে চার বাউন্ডারিতে ২৮ রান তুলে নেন মঈন। শেষ ওভারের প্রথম বলে হোল্ডারের শিকার হয়ে ৬৩ রানে আউট হন মঈন। ৪১ মিনিট উইকেটে থেকে ১টি চার ও ৭টি ছক্কায় ৬৩ রান করেন তিনি।

চতুর্থ উইকেটে লিয়াম লিভিংস্টোনকে নিয়ে ৩৪ বলে ৬৫ রান যোগ করেন মঈন। এতেই বড় স্কোরের ভিত পায় ইংল্যান্ড। শেষ দিকে চার বলে দুই ছক্কায় স্যাম বিলিংসের অপরাজিত ১৩ রানের সুবাদে ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ১৯৩ রান তুলে ইংল্যান্ড। লিভিংস্টোন ১৬ রান করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হোল্ডার ৪৪ রানে তিনটি উইকেট নেন।

জয়ের জন্য ১৯৪ রানের লক্ষ্যে শুরুটা ভালোই হয়েছিল  স্বাগতিকদের। ৪৪ বলে ৬৪ রানের সূচনা করেন ক্যারিবীয় দুই ওপেনার ব্রান্ডন কিং ও কাইল মায়ার্স। সিরিজে প্রথম খেলতে নেমে ২৩ বলে দুটি চার ও চারটি ছক্কায় ৪০ রান করেন মায়ার্স। কিংয়ের ব্যাট থেকে আসে ২৬ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনারই  শিকার হন মঈনের। ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৫৯ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাচসেরা  হন মঈন।