ওমানকে ছোট লক্ষ্য দিল পাপুয়া নিউগিনি
ব্যাটিংয়ে শুরুটা হয়েছিল হতাশা দিয়ে। রানের খাতা খোলার আগেই জোড়া ধাক্কা খায় পাপুয়া নিউগিনি। এমন চাপের মুখ থেকে দলকে কিছুটা রক্ষা করার চেষ্টা করেন অধিনায়ক আসাদ ভালা। খেলেন ৫৬ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস। তারপরও দলকে বড় সংগ্রহ গড়ে দিতে পারেননি। তাঁর এই ইনিংসের ওপর ভর করে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ওমানকে ১৩০ রানের লক্ষ্য দিয়েছে পাপুয়া নিউগিনি।
আজ রোববার ওমানের আল আমিরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস হেরে আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৯ রান করে পাপুয়া নিউগিনি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ সংগ্রহ অধিনায়ক আসাদ ভালার।
ব্যাটিংয়ের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি পাপুয়া নিউগিনির। ইনিংসের প্রথম ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই উইকেট হারায় তারা। ওভারের পঞ্চম বলে নিউপাপুয়া গিনির ওপেনার টনি পালাকে সরাসরি বোল্ড করেন বিলাল খান। ৫ বল খেলে রানের খাতাও খুলতে পারেননি টনি পালা।
দ্বিতীয় ওভারে ফের ধাক্কা খায় পাপুয়া নিউগিনি। এবার হারায় আরেক ওপেনার লেগা সিয়াকাকে। দুই উইকেট হারানোর চাপ সামলে দলকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন অধিনায়ক আসাদ। চার্লস জর্ডান আমিনিকে নিয়ে স্কোরবোর্ডে ৮১ রান যোগ করেন তিনি। ১১.৩তম ওভারে ভাঙে ওই জুটি। রানআউট হয়ে ফিরে যান আমিনি। চার বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ২৬ বলে ৩৭ রান করেন তিনি।
এরপর সেসে বাউকে নিয়ে কিছুক্ষণ লড়াই করেন আসাদ। তবে সেটা বেশিদূর যায়নি। দলীয় ১০২ রানেই আউট হয়ে যান আসাদ। চার বাউন্ডারি ও তিন ছক্কায় ৪৩ বলে ৫৬ রান করে বিদায় নেন তিনি। আসাদ ফেরার কিছুক্ষণ পর ফিরে যান সেসে বাউ।
দুই ব্যাটার ফেরার পর একে একে হতাশা দেখেছে পাপুয়া নিউগিনি। একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে তারা। রানের গতিও কমতে থাকে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ১২৯ রানে থামে নিউগিনির ইনিংস।
ওমানের পক্ষে বল হাতে দারুণ ছিলেন মাকসুদ। ২০ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। সমান দুটি করে উইকেট নেন কালিমুল্লাহ ও বিলাল খান।