মুখে আর ব্রণ নয়, নতুন ভ্যাকসিন আবিষ্কার

Looks like you've blocked notifications!

কিশোর-কিশোরী কিংবা প্রাপ্তবয়স্ক, সবাই ব্রণের ভয়ে থাকে। এক গবেষণায় উঠে এসেছে, ব্রণ আক্রান্ত-ব্যক্তির আত্মসম্মান কমিয়ে দেয়। বাড়িয়ে দেয় মানসিক যন্ত্রণা। তবে নতুন দিগন্তের যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। ব্রণ সমস্যার চিরবিদায়ের জন্য আবিষ্কার করা হয়েছে নতুন ভ্যাকসিন।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি অব সান ডিয়েগোতে গবেষকদল আবিষ্কার করেছেন নির্দিষ্ট অ্যান্টিবডিযুক্ত ভ্যাকসিন, যা ব্রণে যুক্ত ব্যাকটেরিয়ার বিষাক্ত বিষের বিরুদ্ধে লড়াই করে। তারা আরো দেখেছেন, এটা ব্রণ-সংক্রান্ত প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। খবর ইনডিপেনডেন্টের।

গবেষকরা ভ্যাকসিনটিকে ক্রিস্টি-অ্যাটকিন্স-মাঞ্চ-পিটারসন (সিএএমপি) নামে অভিহিত করেছেন। এটি প্রদাহজনিত টক্সিনের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। ব্রণ হতে সাহায্য করে, এমন ব্যাকটেরিয়াকে ঝেটিয়ে বিদায় করবে।

গবেষকরা মানবদেহ থেকে কোষ সংগ্রহ করেন। এরপর তা পরীক্ষার জন্য ইঁদুরের ওপর প্রয়োগ করেন। দেখেন, সিএএমপির বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডিসমূহ কাজ করছে।

প্রধান গবেষক চুন-মিং হুয়াং বলেছেন, যদি ক্লিনিক্যালি বড়সড়ভাবে পরীক্ষা চালানো যায়, তবে এ অর্জন ব্রণ সমস্যায় ভোগা লাখো মানুষের কাজে লাগবে।

বিশেষ ইমিউনোথেরাপির মাধ্যমে করা এ চিকিৎসাপদ্ধতি ব্রণের বিরুদ্ধে কার্যকর লড়াই করে, যা অ্যান্টিবায়োটিক বা হরমোনাল চিকিৎসা বা রোয়াকিউটেন ড্রাগ ব্যবহারের চেয়ে বেশি কার্যকর।

যুক্তরাষ্ট্রে বয়ঃসন্ধিকালে রয়েছে এমন ৮৫ ভাগ ছেলেমেয়ে ও ৪০ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্কের জন্য বর্তমান চিকিৎসাপদ্ধতিটি তেমন কাজেই লাগে না, বলেন হুয়াং।

গবেষক হুয়াংয়ের মতে, ব্রণের জন্য নতুন, নিরাপদ ও কার্যকরী চিকিৎসা অত্যন্ত প্রয়োজন।

ভ্যাকসিনটি বৃহৎ পরিসরে ক্লিনিক্যালি পরীক্ষা করে দেখা হবে। কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় কি না, তাও পরীক্ষা করে দেখবেন তাঁরা। তবে এ পর্যন্ত গবেষণায় যে ফল এসেছে, তা নিঃসন্দেহে ইতিবাচক।