এত উঁচু গাড়ি!
বিভিন্ন প্রকারের তাকলাগানো গাড়ি তৈরি করা সুধাকর যাদবের নেশা। সুধাকর যাদব ভারতের নাগরিক। সেই ১৪ বছর বয়স থেকেই নানা ধরনের গাড়ি তৈরি করে আসছেন তিনি। টেনিস বল, হামবার্গার, জুতা, হাতব্যাগ থেকে শুরু করে টয়লেট সব বহু মডেলের গাড়ি তৈরি হয়েছে তার হাতে।
এসব গাড়িকে ঘিরে তৈরি নিজের নামে তৈরি করেছেন সুধা মিউজিয়াম নামক একটি গাড়ি জাদুঘর যা হায়দরাবাদে অবস্থিত। এই জাদুঘরে প্রদর্শনীর জন্য রেখেছেন তাঁর তৈরি অন্তত সাতশত গাড়ি! এবার তিনি দেখিয়েছেন তার চেয়ে বড় চমক। ভেবে দেখো কী হতে পারে তা? পারছো না তো, আমি বলছি। তিনি তৈরি করেছেন বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু গাড়ি। গাড়িটি ১৫ মিটার লম্বা, প্রস্থে পাঁচ দশমিক সাত মিটার চওড়া আর আট মিটার উঁচু! এত বড় আর উঁচু গাড়ি দেখেখো কখনো? নিশ্চয়ই না, আরে দেখবে কোথায়, এত উঁচু কখনো গাড়ি হয় নাকি? এত উঁচু গাড়ি তো রাস্তায় চালানোও সম্ভব নয়।
তিনি অবশ্য রাস্তায় চালানোর জন্য তৈরিও করেননি। এটা মূলত একটা আর্ট গাড়ি, তৈরি করেছেন জাদুঘরে রাখার জন্য। এত সব গাড়ি তৈরি করতে করতে সবচেয়ে বড় ও উঁচু গাড়ি তৈরির চিন্তা আসে তাঁর মাথায়। যেই চিন্তা, সেই কাজ। ১৯২২ সালের ফোর্ড টুরার গাড়ির আদলে এ রকম একটা বড় ও উঁচু গাড়ি তৈরি করে চমকে দিলেন সবাইকে। যেহেতু রাস্তায় চালানো যাবে না, তাই এ গাড়িতে সুধাকর কোনো ইঞ্জিনই রাখেননি। এ গাড়ি সম্পর্কে সুধাকর বলেন, ‘জাদুঘরে বেড়াতে আসা বাচ্চাদের আরো বেশি চমক দিতেই দৈত্যাকার গাড়িটি বানিয়েছি। গাড়িটির নকশা করতে এবং বানাতে আমার তিন বছর সময় লেগেছে। বিশাল আকারের গাড়ি তৈরি করে আমি রেকর্ড বুকে নাম লেখাতে চাই।’ যে বড় গাড়ি তিনি তৈরি করেছেন তাতে তাঁর মনের আশা পূর্ণ হতেই পারে।
গত মঙ্গলবার দর্শকদের দেখার জন্য গাড়িটি স্থাপন করা হয় ভারতের বেঙ্গালুরুর দক্ষিণাঞ্চলের একটি শহরে। বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু গাড়িটি একনজর দেখতে সেখানে হাজির হয় প্রচুর লোক। বিবিসির ওয়েবসাইটে গেলে পেয়ে যাবে বিস্তারিত তথ্য।