গন্ধ নয়, স্মৃতিশক্তিও ব্যবহার করে কুকুর
গন্ধ শুঁকে যেকোনো কিছু খুঁজে বের করতে ওস্তাদ ধরা হয় কুকুরদের। শুধু তা-ই নয়, অনেক কিছু চিনতেও নাকি এরা ঘ্রাণশক্তির ব্যবহার করে, এমনটাই ধারণা করা হয়। কিছুদিন আগের এক নতুন গবেষণার ফলাফল ভিন্ন কথা বলছে। সারমেয়কুল নাকি কোনো কিছু চিনে উঠতে বা মনে করার জন্য ঘ্রাণশক্তির চেয়ে তাদের স্মৃতিশক্তিই বেশি ব্যবহার করে। এনডিটিভির অফবিট ফিচারে পাওয়া গেল এ নিয়ে বিস্তারিত কথা।
৫০০ কুকুরের মালিক তাঁদের কুকুরকে নিয়ে এ গবেষণায় অংশ নিয়েছেন স্বেচ্ছায়। কুকুরদের বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা ও পারদর্শিতা নিয়ে পরীক্ষা করেছেন তাঁরা বেঁধে দেওয়া শর্তমতো। পদ্ধতি ছিল, সবকটি কুকুরকেই একই খেলায় ব্যস্ত করে তোলা। সেই খেলাধুলার রিপোর্ট নিয়েও বিস্তারিত গবেষণা করা হয় ল্যাবরেটরিতে। ডিউক ইউনিভার্সিটিসহ বেশ কয়েকটি স্থানের ল্যাবে পরিচালিত হয়েছে গবেষণা।
দেখা গেছে, লুকানো কোনো বস্তু খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে কুকুররা সাধারণত ঘ্রাণশক্তির চেয়ে তাদের স্মরণশক্তিকেই বেশি ব্যবহার করে থাকে। দুটি কাপের একটির মধ্যে খাবার লুকিয়ে রেখে মালিকরা পরীক্ষা করেছেন। কুকুরদের একবার দেখিয়ে, তার পরে এদের চোখ বন্ধ করে খাবার লুকিয়ে রেখেছিলেন মালিকরা। পরে দেখা যায়, অনেক কুকুরই খাবারওয়ালা কাপটি খুঁজে বের করতে পারছে না। ঘ্রাণশক্তির ব্যবহার করলে কোনোমতেই কুকুরগুলোর কোনোভাবেই ব্যর্থ হওয়ার কথা ছিল না।
এসব তথ্য-উপাত্ত একত্র করা হয়েছে ডগনিশন ডটকম নামে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। এগুলো নিয়ে ভালোমতো বিশ্লেষণ করেছেন ডিউক ইউনিভার্সিটির ইভল্যুশনারি অ্যানথ্রোপলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ব্রায়ান হেয়ার।
ডিউক ইউনিভার্সিটির একজন জ্যেষ্ঠ গবেষক ও বিজ্ঞানী এভান ম্যাকলিন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অধিকাংশ মানুষই মনে করেন, কুকুর সাধারণত সবকিছুর জন্য ঘ্রাণশিক্ত ব্যবহার করে। আসলে ব্যাপারটা তা না, কোনো কিছু সমাধানে কুকুর অনেক ধরনের অনুভূতি এবং ক্ষমতা ব্যবহার করে থাকে।’
এরই মধ্যে ‘প্লাস ওয়ান’ নামে একটি জার্নালে এই গবেষণা নিয়ে বিস্তারিত প্রকাশ হয়েছে।