চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচণে সাধারণ সম্পাদকে পদে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। নির্বাচনের পরপরই ডিপজলকে ফুলের মালা গলায় পড়িয়ে বরণ করে নেন নিপুণ। তবে নির্বাচনের ২৬ দিন পর অনিয়মের অভিযোগে আদালতে রিট দায়ের করেন তিনি।

নিপুণের সেই রিটের প্রেক্ষিতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদটিতে স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। পরে ডিপজলের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করে চেম্বার আদালত। ফলে শিল্পী সমিতির সম্পাদক পদে ডিপজলের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই বলে জানান আইনজীবীরা।

প্রথমে ডিপজলকে ‘অশিক্ষিত’ বলে মন্তব্য করেন নিপুণ। এর জবাবে নিপুণের পেছনে বড় শক্তি আছে বলে মন্তব্য করেন ডিপজল। দুজনের তর্কের লড়াই এখানেই থামেনি। 

সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিপুণকে নিয়ে আবারও মুখ খুলেছেন ডিপজল। তিনি বলেন, ‘নিপুণকে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে এনে আমি ভুল করেছিলাম। আমার এখন মনে হয়, আমি ভুল করেছিলাম। তাকে আমি আর চিনি না। শিল্পী সমিতির চেয়ারে টাকা-পয়সা বলে কিছু নাই। এটা একটা ইজ্জত। ফিল্মটাকে কিভাবে সুন্দর করা যায়। আমার নির্বাচন করার ইচ্ছে ছিল না। তবুও নির্বাচন করলাম। কারণ গতবার অনেক অনিয়ম দেখেছি। যে কারণে এবার সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করলাম।’

ডিপজল বলেন, ‘নিপুণের মূল ব্যবসাটা কী? আমি যে সিনেমা করছি, এটাই কী আমার মূল্য ব্যবসা? না, এটা আমার মূল ব্যবসা না। শুনলাম, উনি পার্লার দিয়েছেন। কী পার্লার এটা? সেই পার্লারে গিয়ে আপনারা দেখেন, সেটা কেমন পার্লার। সেখানে কী হয়।’

চলচ্চিত্রের বাইরে পার্লারের ব্যবসা পরিচালনা করছেন অভিনেত্রী নিপুণ। এ নিয়ে ডিপজল প্রশ্ন তুলতেই বিষয়টি হয়ত নজর কেড়েছে এই নায়িকার। তাই বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে নিজের ফেসবুক পেজে একটি লাইভ ভিডিও শেয়ার করেন নিপুণ। আর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘আইব্রো ও ওমব্রে!’। ভিডিওতে দেখা যায়, পার্লারে একজন মেয়ের আইব্রো করানো হচ্ছে।

ভিডিওটিতে কমেন্ট সেকশন অফ করে রেখেছেন এই নায়িকা। তবে নেটিজেনদের ধারণা, ডিপজলের প্রশ্নের জবাবে দেয়ার জন্যই ফেসবুক লাইভে পার্লারের কার্যক্রম তুলে ধরেছেন নিপুণ।