ডিরেক্টরস গিল্ডের নির্বাচন শুক্রবার

দেশের নাট্যপরিচালকদের অনেক সংগঠন থাকলেও সেগুলোর কার্যক্রম তেমন একটা নেই। এবার নাট্য নির্মাতারা একসঙ্গে কাজ করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। সম্প্রতি নাট্যপরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডের পক্ষ থেকে তাঁরা নির্বাচন করার ঘোষণাও দিয়েছেন। আগামীকাল ২২ জুলাই এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নাট্যপরিচালকদের এই নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন ড. ইনামুল হক, এস এম মোহসীন ও খায়রুল আলম সবুজ।
ডিরেক্টরস গিল্ডের মোট সদস্য রয়েছেন ৩৮৩ জন। নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়ছেন গাজী রাকায়েত, কায়েস চৌধুরী ও জাহিদ হাসান। সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন এস এ হক অলিক ও মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ।
সহসভাপতি পদে সাত সদস্যের মধ্যে লড়ছেন কচি খন্দকার, চয়নিকা চৌধুরী, আকরাম খান, শুভ্র খান, সৈয়দ শাকিল ও সকাল আহমেদ। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন হৃদি হক, হিমেল আশরাফ, রাজু আলীম, মাসুদ মহিউদ্দীন, শেখ মুহাম্মদ এহসানুর রহমান ও হাসান জাহাঙ্গীর।
অর্থ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল, আরিফ আল মামুন, আল হাজেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দীন মোহাম্মদ মন্টু, আকতারুজ্জামান, এস এম কামরুজ্জামান ও ইমরাউল রাফাত লড়বেন। এ ছাড়া কার্যনির্বাহী পরিষদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ২৭ জন।
ছয় বছর ধরে ডিরেক্টরস গিল্ড সংগঠনটি থাকলেও এবারই প্রথম এর নির্বাচন হতে যাচ্ছে। তাই নাট্যকর্মী, পরিচালক ও প্রার্থীদের মধ্যে চলছে উত্তেজনা।
এনটিভি অনলাইনকে কায়েস চৌধুরী বলেন, ‘শিল্প যখন ব্যবসায়িক খাতে চলে যায়, তখন সেটা আর শিল্প থাকে না, হয়ে যায় পণ্য। এখন মিডিয়ায় ভীষণ অস্থিরতা চলছে। সাহিত্য চর্চা না করে অনেকেই মিডিয়ায় দিব্যি কাজ করছেন। শিল্পের প্রতি তো খাঁটি ভালোবাসা থাকতে হবে। সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠে সুন্দর পরিবেশের জন্য নির্বাচন হওয়াটা ভীষণ জরুরি। আশা করছি, ভবিষ্যতে ডিরেক্টরস গিল্ড আরো অনেক পদক্ষেপ নেবে।’
সহসভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চয়নিকা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ভালো কাজ কখনো একা একা হয় না। ভালো কাজ সবাই মিলেই করতে হয়। ডিরেক্টরস গিল্ডের গত ২৪টি মিটিংয়ের মধ্যে আমি ২৩টিতে উপস্থিত ছিলাম। ভালোবেসে কাজ করেছি। এই যে নতুন-পুরোনোর জোয়ার, এটা অনেক আনন্দের ও ভালো লাগার। ডিরেক্টরস গিল্ডের প্রতি মায়া-ভালোবাসা ছিল, আছে, থাকবে। আবেগ বা ব্যক্তিগত কোনো ক্রোধ নয়। সবার নিজের ভোট নিজে বুঝে, যাচাই করে নিজের স্বার্থে যোগ্য মানুষকেই দেবেন প্লিজ। এই কামনাই আমি করছি। আমাকে যোগ্য মনে করলে সহসভাপতি পদে একটা ভোট দিলে খুশি হব।’