প্যারালাইসিস রোগীর চরিত্রে প্রথমবার অভিনয় করেছি : নওশীন
অভিনয়শিল্পী নওশীন আসন্ন ঈদের নাটক নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাঝেমধ্যে টেলিভিশনের বিশেষ অনুষ্ঠানগুলো উপস্থাপনাও করতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। সম্প্রতি শামীমা শাম্মী পরিচালিত ‘রক্তদ্রোণ’ নাটকের শুটিং শেষ করেছেন তিনি। নিজের সাম্প্রতিক কাজ নিয়ে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে আলাপ করেছেন নওশীন।
প্রশ্ন : ‘রক্তদ্রোণ’ নাটকটিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা কী রকম?
উত্তর : সত্যি বলতে, নাটকটিতে কাজ করে অনেক শান্তি পেয়েছি। সাধারণত এক ঘণ্টার নাটকের শুটিং দুদিনের মধ্যে শেষ করা হয়। এই নাটকটির শুটিং আমরা তিন দিন ধরে করেছি। নাটকে আমার সহশিল্পী ছিলেন জাহিদ হাসান ভাই ও ভাবনা। নাটকটিতে প্যারালাইসিস রোগীর চরিত্রে প্রথমবার অভিনয় করেছি আমি। চরিত্রের নাম ছিল নীতু। এর আগে বোবা, বধির অনেক ধরনের চরিত্রে অভিনয় করলেও এবারই প্রথম প্যারালাইসিস রোগীর চরিত্রে কাজ করার অভিজ্ঞতা হলো। গল্পটাও মৌলিক। নাটকের পরিচালক শামীমা শাম্মী নিজেই নাটক লেখেন। তাঁর অধিকাংশ নাটক কোনো না কোনো ফুলের নাম হয়। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি।
প্রশ্ন : ক্যারিয়ারের শুরু থেকে জাহিদ হাসানের সঙ্গে আপনি অভিনয় করছেন। সহশিল্পী হিসেবে জাহিদ হাসান কী রকম?
উত্তর : জাহিদ ভাই অনেক হেল্পফুল। তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। এ ছাড়া শুটিংয়ের সময় জাহিদ ভাই অনেক হাসির গল্প বলেন, যা শুনে আমাদের সবার মন ভালো হয়ে যায়।
প্রশ্ন : এখন কি উপস্থাপনা কম করছেন?
উত্তর : না, সে রকম নয়। বুঝেশুনে বিশেষ কিছু অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছি। তবে উপস্থাপনা ছেড়ে দিচ্ছি, এ রকম ভাবার কোনো কারণ নেই। এখন ঈদের নাটকের শুটিংয়ে বেশি সময় দিচ্ছি।
প্রশ্ন : তরুণ শিল্পীদের কাজ আপনার কেমন লাগে?
উত্তর : তরুণদের মধ্যে অনেকেই ভালো করছেন। মৌসুমি হামিদের অভিনয় আমার অসম্ভব ভালো লাগে। এ ছাড়া শবনম ফারিয়া, সাবিলা নূরও অনেক ভালো করছেন। আমি কিন্তু স্বজনপ্রীতি করছি না। সততা ও মনোযোগ দিয়ে কাজ করলে শিল্পী হয়ে ওঠা সম্ভব।