পরীর কান্নার ছবি ‘মহুয়া সুন্দরী’র মুক্তি

পরী মণি অভিনীত আলোচিত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে ‘মহুয়া সুন্দরী’ একটি। অভিনয়ের পাশাপাশি সরকারি অনুদানের সিনেমাটির সহ-প্রযোজক হিসেবেও রয়েছেন তিনি। রওশন আরা নিপা পরিচালিত এই ছবিটি আজ সারা দেশে মুক্তি পেয়েছে। ‘মহুয়া সুন্দরী’ পালা অবলম্বনে নির্মিত হলেও আধুনিক একটি গল্পের সঙ্গে মিলিয়ে ছবির চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে। তাই সিনেমাটিকে সরাসরি ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’র ‘মহুয়া’ বলা যায় না। পরী মণি জানালেন, এই ছবিটির জন্য তিনি প্রচণ্ড আবেগ অনুভব করছেন।
এনটিভি অনলাইনকে পরী মণি বলেন, “ছবির গল্প যেদিন আমি শুনি, তখন থেকেই আমার কান্না শুরু। পরিচালক নিপা ম্যাডাম গল্প শোনাচ্ছেন আর আমি চোখ মুছছি। তার পর অন্য ছবির শুটিং থেকে ফিরেই ‘মহুয়া সুন্দরী’ ছবির স্ক্রিপ্ট নিয়ে বসে পড়া শুরু করতাম আর কাঁদতাম। পড়তে পড়তে কখন ভোর হয়ে যেত খেয়াল থাকত না। ছবিটি নিয়ে আমি অনেক প্র্যাকটিস করেছি। আমার মনে হয় না এত বেশি পরিশ্রম কোনো ছবির জন্য করেছি কি না। এর পর যখন ছবির শুটিং করতে গেলাম, সিকোয়েন্স করি আর কাঁদি। আমার কান্নার দৃশ্যের জন্য গ্লিসারিন ব্যবহার করতে হয়নি। ছবির শুটিং আমরা টানা করেছি, যে কারণে পুরো পরিবেশটা আমার কাছে অনেক আপন হয়ে গেছে। শুটিং শেষে যখন আমরা ঢাকায় ফিরি, তখন সবকিছুর জন্যই আমার কাছে কান্না পাচ্ছিল। যাদের সঙ্গে টানা কাজ করলাম, তারা একে নিজেদের অন্য কাজে আবারো চলে যাচ্ছে দেখে কান্না করেছি। এমনকি যে ঘরটাতে আমি থাকতাম, সেই ঘর দেখেও কান্না করেছি। আসলে একটা ছবির জন্য একজন শিল্পী কতটা প্রেমে পড়তে পারে, তা এই ছবি না করলে আমি বুঝতাম না। আমি অনেক কেঁদেছি, এবার কাঁদবে দর্শক, ছবিটা আসলেই কাঁদাবে সবাইকে। আমি আশা রাখি, আমাদের দেশে যখন মৌলিক গল্পের ছবির সংখ্যা কম, এমন সময় ছবিটি দর্শকের প্রত্যাশা পূরণ করবে।”
ছবিতে পরীর বিপরীতে নায়ক হিসেবে থাকছেন সুমিত। এতে আরো অভিনয় করছেন মামুনুর রশীদ, সুচরিতা ও জয়রাজ। ‘মহুয়া সুন্দরী’তে গান আছে মোট ছয়টি।
সংগীতায়োজন করেছেন ইমন সাহা ও অমিত চট্টোপাধ্যায়। এরই মধ্যে অডিওতে প্রকাশিত গানগুলো প্রশংসিত হয়েছে। প্রকাশ হয়েছে সিনেমাটির ট্রেলারও। বাংলাদেশে ‘মহুয়া’ অবলম্বনে সিনেমা নতুন নয়। ১৯৬৬ সালে আলী মনসুর নির্মাণ করেছিলেন ‘মহুয়া’। পরে ১৯৮৬ সালে শামসুদ্দিন টগর নির্মাণ করেছিলেন ‘মহুয়া সুন্দরী’।