নির্বাচন পর্যন্ত শিল্পী সমিতিতে প্রবেশ নিষেধ

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আসন্ন নির্বাচন পর্যন্ত সমিতির কার্যালয়ে প্রবেশ নিষেধ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চন। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সেখানে কোনো শিল্পী প্রবেশ বা আড্ডা দিতে পারবেন না, নির্বাচনী প্রচারণায় সমিতি ব্যবহার করা যাবে না বলেও জানান তিনি।
সম্প্রতি খল অভিনেতা ড্যানিরাজের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মৌসুমী। এরই প্রতিক্রিয়া হিসেবে কঠোর হয়েছেন বলে জানান ইলিয়াস কাঞ্চন। এ ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চন প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকে নিয়ে আলোচনায় বসেন। সেখানে ড্যানিরাজ কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চান।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আমি নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আমার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে চাই। নির্বাচনী নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনের দিন পর্যন্ত সমিতির ভেতর আড্ডাবাজি, চা খাওয়া বা ভোটের প্রচারণার জন্য ব্যবহার করা যাবে না। মৌসুমীর সঙ্গে ড্যানিরাজের বাকবিতণ্ডা হওয়ার পর আমার মনে হয়েছে, বিষয়টি নজরে আনা দরকার।’
গতকাল থেকে মিশা-জায়েদ প্যানেল সমিতির বাঁ পাশে ও মৌসুমী ডান পাশে পরিচালক সমিতির সামনে অবস্থান নিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে জায়েদ বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রচুর শিল্পী এফডিসিতে আসছেন। যে কারণে সমিতির পরিবেশ রক্ষায় আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নির্বাচন প্রচারণায় সমিতি ব্যবহার করা যাবে না। যে কারণে আমরা সবাই সমিতির বাইরে বসে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছি।’
আগামী ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। এবার সভাপতি পদে মিশা সওদাগরের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মৌসুমী।
গত ৫ অক্টোবর ২০১৯-২১ মেয়াদের শিল্পী সমিতির আসন্ন নির্বাচনের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকা থেকে জানা যায়, সভাপতি পদে লড়াই করছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী ও খলনায়ক মিশা সওদাগর। সহসভাপতির দুটি পদে প্রার্থী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল, রুবেল ও নানা শাহ। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রতিদ্বন্দ্বী ইলিয়াস কোবরা। সহসাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন আরমান ও সাংকো পাঞ্জা। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অভিনেতা সুব্রতর বিপরীতে কোনো প্রার্থী নেই। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে লড়ছেন নূর মোহাম্মদ খালেদ আহমেদ ও চিত্রনায়ক ইমন। দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে একাই রয়েছেন জ্যাকি আলমগীর। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে লড়বেন জাকির হোসেন ও ডন। কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা ফরহাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। অর্থাৎ সুব্রত, জ্যাকি, আলমগীর ও ফরহাদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে কার্যকরী পরিষদ সদস্যের ১১টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১৪ জন। তাঁরা হলেন অঞ্জনা সুলতানা, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, বাপ্পারাজ, রঞ্জিতা, আসিফ ইকবাল, আলেকজান্ডার বো, জেসমিন, জয় চৌধুরী, নাসরিন, মারুফ আকিব ও শামীম খান (চিকন আলী)।