বিনোদন সাংবাদিক আওলাদ হোসেন আর নেই
প্রখ্যাত বিনোদন সাংবাদিক আওলাদ হোসেন আর নেই। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সাংবাদিকতায় সর্বজনশ্রদ্ধেয় এই মানুষটির মৃত্যুতে চলচ্চিত্র অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিনোদন সাংবাদিকরা প্রিয় আওলাদ ভাইকে হারিয়ে স্তব্ধ, সেই সঙ্গে শোকে সুনসান এদেশের বিনোদন সাংবাদিকতা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর।
আজ বাদ জুমা পুরান ঢাকার ইসলামপুর জামে মসজিদে মরহুমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ২টায় এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় জানাজা। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সন্ধ্যায় আজিমপুর কবরস্থানে লাশ দাফন করা হবে।
সাংবাদিক আওলাদ হোসেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দৈনিক মানবজমিনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৮৭ সালে দৈনিক খবরের ম্যাগাজিন ‘সাপ্তাহিক ছায়াছন্দ’তে সহ-সম্পাদক পদে যোগদানের মধ্য দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন। দীর্ঘ ১৫ বছরের কর্মজীবন ছেড়ে ২০০৪ সালে যোগ দেন দৈনিক মানবজমিনে।
আওলাদ হোসেন দৈনিক ইনকিলাব, দৈনিক দিনকাল, দৈনিক যুগান্তর, সাপ্তাহিক চিত্রবাংলা, সাপ্তাহিক মনোরমা, সাপ্তাহিক বর্তমান দিনকাল, সাপ্তাহিক চিত্রালী, পাক্ষিক প্রিয়জন, পাক্ষিক বিনোদন বিচিত্রা, চ্যানেল আইয়ের পাক্ষিক আনন্দ আলো, পাক্ষিক আনন্দ ভুবন পত্রিকায় নিয়মিত আমন্ত্রিত লেখক হিসেবে চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতিবিষয়ক কলাম ও প্রতিবেদন লিখেছেন।
সাংবাদিক হিসেবে তিনি দেশের চলচ্চিত্রবিষয়ক প্রতিবেদকদের অধিকার আদায় ও চলচ্চিত্রের উন্নয়নে নিজেকে বিভিন্ন আন্দোলনে সম্পৃক্ত করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ২০০২-২০০৩ কার্যবর্ষে ‘ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক’-এর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ফিল্ম জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন।
মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন ১৯৬৬ সালের ১৯ আগস্ট ঢাকার ইসলামপুরের নিজ বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মৃত মোবারক হোসেন ও মা লুৎফুন্নেসার পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিনি চতুর্থ। হাম্মাদিয়া হাইস্কুলের মানবিক বিভাগ থেকে ১৯৮২ সালে এসএসসি, ১৯৮৪ সালে শেখ বোরহানউদ্দীন কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে এইচএসসি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিভাগ থেকে ১৯৮৭ সালে অনার্স ও ১৯৯০ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন তিনি।
মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন ১৯৯২ সালের ৯ জানুয়ারি মৌসুমী হোসেনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির মো. শাহবাজ হোসেন মুন ও অপরাজিতা হোসেন মীম নামে দুই সন্তান রয়েছে। ছেলে ও মেয়ে দুজনেই বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজে পড়ছেন।