বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খানের ৩৮তম জন্মদিন আজ, ২১ সেপ্টেম্বর। হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। বিয়ের পর বলিউডের অনেকেই অভিনয় ছাড়লেও কারিনা ‘বলিউড লুক’ পাল্টে দিয়েছেন। এখন এটা প্রমাণিত যে, কারিনা এ ইন্ডস্ট্রির অন্যতম রানি।

‘রিফিউজি’ ছবিতে অভিষেক বচ্চনের বিপরীতে অভিষেক হয় কারিনার। অভিনয় দক্ষতা, ফ্যাশন সচেতনতা ও চৌম্বকীয় চেহারার কারণে অসংখ্য ভক্ত তাঁর। শুধু ‘গুড লুক’— পুরোনো ধারণা পাল্টে দিয়েছেন এ বলিউড সুন্দরী।

পাতৌদির নবাব, অভিনেতা সাইফ আলি খানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আছেন কারিনা কাপুর। তাঁদের এক ছেলে তৈমুর আলি খান। কারিনার অজানা দিকগুলো আসুন জেনে নিই।

নাম

কারিনার দাদু একসময়ের বিখ্যাত বলিউড অভিনেতা রাজ কাপুর। প্রথমে তিনি তাঁর নাম রাখেন সিধিমা। যদিও এ নাম টেকেনি। বিখ্যাত লেখক লিও তলস্তয়ের ‘আন্না কারেন্নিনা’ বই থেকে কারিনা নামটি এসেছে। তাঁর মা ববিতা যখন অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন, তখন বইটি পড়ছিলেন। সেখান থেকেই কারিনা। মায়ের দেওয়া নাম কারিনা হলেও তাঁর আদুরে নাম বেবো, এ নাম দিয়েছিলেন তাঁর বাবা রণধীর কাপুর।

ব্যায়াম

কারিনার ফিটনেস সম্পর্কে নিশ্চয়ই সবার ধারণা আছে। এই অভিনেত্রী যোগব্যায়াম করেন। তাঁর আস্থা প্রাচীন ভারতীয় যোগাসনে। সন্তান জন্মদানের পরও তিনি প্রাচীন পদ্ধতি অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করেন। তাঁর যোগ-প্রশিক্ষক জানিয়েছেন, কারিনা ৫০ বার ‘সূর্য নমস্কার’ করেন এবং সাধারণত যে কঠিন আসনটি ত্রিশ সেকেন্ড পর্যন্ত করে সবাই, কারিনা তা পারেন দীর্ঘক্ষণ।

কলেজজীবন

কারিনা কাপুর মুম্বাইয়ের মিথিবাই কলেজে বাণিজ্য শাখায় ভর্তি হন। এর পর তিনি এ বিভাগ ত্যাগ করে আইন বিষয়ে পড়েন। মাইক্রোকম্পিউটার বিষয়ে তিনি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে তিন মাসের গ্রীষ্মকালীন কোর্সও করেন।

নখ কামড়ানো স্বভাব

যদিও তিনি প্রায়ই ম্যানিকিউর করাতে যান, তবু জানা যায়, তাঁর নখ কামড়ানোর অভ্যাস আছে!

যখন শহিদ ছিলেন

বলিউড অভিনেতা শহিদ কাপুরের সঙ্গে প্রেম চলাকালে কারিনা নিরামিষভোজী হয়ে যান। কারণ, শহিদ নিরামিষভোজী। আর শহিদই বেবোকে সবুজ পৃথিবীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন!

কণ্ঠশিল্পী

‘দেব’ ছবিতে কারিনা কাপুর কণ্ঠ দিয়ে শিল্পী বনে যান। তাঁর ‘জব নেহি আয়ে’ গানটি বক্স অফিসের সবাই প্রশংসা করেছিলেন।

বিশ্বাসঘাতকতা

কারিনা কাপুর বিশ্বাসঘাতকতার বিরুদ্ধে। ২০০৭ সালে সাইফ ও কারিনার ডেটিং শুরু হয়। ২০১২ সালে বিয়ের আগে তাঁর দুজন পাঁচ বছর ‘লিভ টুগেদার’ করেছেন। কিন্তু বিয়ের আগে এই যুগল যখন হোটেলে রাত কাটাতেন, তখন পরিচয় দিতেন মিস্টার ও মিসেস। একবার যুগলদের প্রতারণা নিয়ে কারিনাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তখন তিনি উত্তর দিয়েছিলেন—একদম কেটে ফেলব! সূত্র : ডিএনএ।