‘কখনো অভিনয় করবে না’, স্ত্রীকে বলেছিলেন অক্ষয়
মাত্র তিন দিন আগে একসময়ের বলিউড অভিনেত্রী ও সুপারস্টার অক্ষয় কুমারের স্ত্রী টুইঙ্কেল খান্না বলেছিলেন, তাঁর সব সিনেমা যেন নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। এ খবরে ভক্তরা হতাশ হয়েছিলেন। কিন্তু কারণ হিসেবে টুইঙ্কেল বলেছিলেন, তাঁর কোনো ছবিই তেমন দর্শকপ্রিয়তা পায়নি। তাই সেসব আর না থাকলেও চলবে।
এবার আরেক গোমর ফাঁস করলেন অভিনেতা থেকে লেখক বনে যাওয়া টুইঙ্কেল খান্না। সিনেমা প্রযোজনাও করেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর ‘পায়জামাস আর ফরগিভিং’ নামে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। বইটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি তাঁর অভিনীত ছবি নিষিদ্ধের কথা বলেছিলেন।
এবার অনলাইন ডিএনএ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টুইঙ্কেল খান্না বলেছেন, ‘আমার স্বামী (অক্ষয় কুমার) দুটো জিনিস করতে বারণ করেছিল—এক. কখনো অভিনয়ে ফিরতে পারবে না, আর দুই. মঞ্চে দাঁড়িয়ে মজা করবে না। আমার এ দুটোই পছন্দ (হেসে)।’
১৯৯৫ সালে ‘বারসাত’ ছবি দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয় টুইঙ্কেল খান্নার। এরপর ‘ইতিহাস’, ‘জুলমি’ ও ‘মেলা’ ছবি করেন। কিন্তু সেগুলো দর্শকপ্রিয়তা পায়নি। ২০০১ সালে অক্ষয় কুমারকে বিয়ে করার পর অভিনয় ছেড়ে দেন।
এর আগে টুইঙ্কেল ‘দ্য লিজেন্ড অব লক্ষ্মীপ্রসাদ’ নামে একটি বই প্রকাশ করেছিলেন। বইটি ছিল তাঁর ছোটগল্পের সংকলন। ওই বই থেকে একটি সিনেমাও নির্মাণ করা হয়। ছবিটি ব্যাপক সাফল্য পায়। নাম ‘প্যাডম্যান’। ছবিটি প্রযোজনাও করেন তিনি।
টুইঙ্কেল খান্না খুব মজার মানুষ। কোনো অনুষ্ঠানে গেলে সবাই আশা করেন, তিনি মজা করবেন। বলেন, ‘যখন আমি স্টেজে উঠি, তারা এমন বলে—এখন সে তোমাদের পরবর্তী এক ঘণ্টা হাসাবে। কেউ আমাকে মেরে ফেলো—এমন অবস্থা হয় তখন আমার! সত্যি কি, মঞ্চে দাঁড়িয়ে কমিক করতে আমার খুব ভালো লাগে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আমি প্র্যাকটিসও করি।’
মানুষকে হাসানো টুইঙ্কেলের জন্য কোনো ব্যাপার না! এটা তাঁর ব্যক্তিত্বের অংশ। ‘মানুষকে হাসানো আমার জন্য তেমন কঠিন না। আমি নিশ্চিত, এমন একদিন আসবে যখন মজা করে বলার মতো কিছু থাকবে না বা এটা শেষ হয়ে যাবে। মনে হয়, সেটাই ভালো হবে,’ বলেন এ লেখিকা।
টুইঙ্কেল খান্না এখন কথাসাহিত্যের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। একটি ছেলে ও একটি মেয়ে তাঁর। ছেলে আরাব এখন কৈশোর পার করছে। আর মেয়ে নিতারার বয়স পাঁচ।
সম্প্রতি অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘গোল্ড’ ছবিটি বক্স অফিসে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। ছবিটির আয় শতকোটি ছাড়িয়েছে।