‘বাবা বললেন, তুমি তা পাওয়ার যোগ্য ছিলে না’
বলিউডে স্বজনপ্রীতি নিয়ে অনেক দিন ধরেই আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এবার এ নিয়ে মুখ খুললেন হালের ক্রেজ বরুণ ধাওয়ান। তিনি স্বীকার করেছেন, শোবিজে স্বজনপ্রীতি আছে, আর তা খারাপ। আর বাবাই তাঁর তারকা, সুপারহিরো।
যুক্তরাষ্ট্রের মাসিক পত্রিকা জিকিউ-এর ভারতীয় সংস্করণের সেপ্টেম্বর সংখ্যায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে ‘সুই ধাগা’ অভিনেতা বলেন, ‘স্বজনপ্রীতি আছে। এটা আমাদের ইন্ডাস্ট্রির একটি অংশ। এটা ভালো না। ইন্ডাস্ট্রির বাইরে অনেকে আছেন, তাদের সুযোগ দেওয়া উচিত। এবং কেন নয়? আমার বাবাও এভাবে এসেছেন।’
তারকা চলচ্চিত্র নির্মাতা ডেভিড ধাওয়ানের ছেলে বরুণ। বলিউডে বেশ কিছু ছবি করেছেন। অভিনয় দিয়েই দর্শকদের মন জয় করেছেন। বরুণ বিশ্বাস করেন, মানুষকে ধৃষ্টতা দেখানো সহজ, কিন্তু তাঁর বাবার সংগ্রাম সম্পর্কে খুব কম মানুষই জানে। খবর মিড ডে-র।
‘আমার বাবা আগরতলায় জন্মেছেন। যখন তিনি বোম্বে আসেন, চারজনের সঙ্গে ভাগাভাগি করে এক বাসায় থাকতেন। যখন আমার জন্ম হয়, আমার পরিবার ১বিএইকে-র কার্টার রোডে থাকত।’
‘বাবার প্রথম গাড়ি ছিল একটি ট্যাক্সি, সেকেন্ড-হ্যান্ড অ্যাম্বাসেডর; যেটাতে তিনি সাধারণ গাড়ির মতো রং করেছিলেন। তাঁর অর্জন অনেক, পরিবারের জন্য তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। তিনিই আমার তারকা, আমার হিরো, আমার সুপারহিরো’, বলেন এ গর্বিত সন্তান।
ডেভিডের দুই ছেলের মধ্যে বরুণ ছোট। তিনি সবসময় চান, একজন বিনোদনকারী হবেন; কিন্তু এটা তিনি নিজের মতো করেই করতে চান।
‘মনে আছে, যখন আমি দশম স্ট্যান্ডার্ডে ছিলাম, যখন ধিরুভাই আম্বানি স্কুল চালু হয়েছে মাত্র। আমার অনেক বন্ধু ভর্তির জন্য সেখানে আবেদন করেছিল।’
‘মনে আছে, বাবাকে বলেছিলাম, আমি ভর্তির জন্য আবেদন করতে চাই, তুমি কি কল করতে পার? রেজাল্ট এলো এবং আমি ভর্তি হতে পারিনি। বাবাকে বলেছিলাম, তুমি কি কল করেছিলে? বাবা বললেন, না, তুমি তা পাওয়ার যোগ্য ছিলে না।’
ওই দিন বরুণের শিক্ষা হয়েছিল : তাঁর পরিবার সহায়তা করবে, কিন্তু একেবারে পরিবেশন করে দেবে না। ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ ছবিতে অভিষেকের পর বরুণ বলিউডে তারকাখ্যাতি পান। এরপর নানা চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
শিগগিরই বরুণ ধাওয়ানের অভিনীত ‘সুই ধাগা- মেইড ইন ইন্ডিয়া’ ছবি মুক্তি পাচ্ছে। এ ছবিতে একটি ছোট শহরে বসবাসরত দর্জির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। বলেন, ‘আমি সবার জন্য ছবি করতে চাই। আমি আমেরিকান অভিনেতা-কমেডিয়ান উইল ফেরেলকে যেমন ভালোবাসি, তেমনি ক্রিশ্চিয়ান বেলকেও ভালোবাসি। এ প্রজন্মের বেশিরভাগই যেমনটা পছন্দ করে।’