‘চালক বাধ্য হয়েছিল রেস খেলা বন্ধ করতে’
‘বাস চালানোর সময় চালকরা মোবাইল ফোনে কথা বলে। এটা বন্ধ করা দরকার। আর রাস্তায় চালকদের মধ্যে রেস, প্রতিযোগিতা তো চলছেই।’ কথাগুলো এনটিভি অনলাইনকে বলেছেন অভিনেতা আনন্দ খালেদ।
দুই বাসচালকের রেষারেষিতে গতকাল রোববার রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় আনন্দ খালেদ বলেন, ‘যখন চালকরা প্রতিযোগিতা করবে কিংবা মোবাইলে ফোনে কথা বলবে, তখন যাত্রীদের প্রতিবাদ করতে হবে। আমরা অনেক সময় ভয়ে প্রতিবাদ করি না। ভয়টা কিসের? ভয়টা হলো যদি চালক ও হেলপাররা আমাদের গালি দেয়? আসলেই এই ভয়কে দূর করতে হবে। যাত্রীদের প্রতিবাদ করতে হবে। আমার বিশ্বাস, যাত্রীরা প্রতিবাদ করলে ৭০ ভাগ সড়ক দুর্ঘটনা কমে যাবে। যেহেতু কোনো কিছু করে কিংবা বলে কিছুই হচ্ছে না, তাই এ পথই আমাদের অনুসরণ করা দরকার।’
অন্যদিকে, ফেসবুকে নিজের বাসে ওঠার অভিজ্ঞতা জানিয়ে আনন্দ খালেদ বলেন, ‘৩ নম্বর লোকাল বাসে শাহবাগ থেকে একদিন খিলক্ষেত যাচ্ছিলাম। হঠাৎ আমার বাসের কিশোর ড্রাইভার আরেক লোকাল বাসের ড্রাইভারের সঙ্গে রেস খেলা শুরু করে দিল। বাসের যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ল। আমার সিট ছিল একেবারে পেছনে। আমি সামনে গিয়ে বাস ড্রাইভারের কানের কাছে গিয়ে চিৎকার করে প্রতিবাদ করলাম। আমি প্রতিবাদ করায় বাসের সব যাত্রী আমাকে সমর্থন করে চিৎকার করে উঠল। বাসচালক বাধ্য হয়েছিল রেস খেলা বন্ধ করতে। প্রিয় বাসযাত্রী সাধারণ ভাইবোনরা, আমরা এই দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষকে প্রতিনিধিত্ব করি। যারা এই দেশে বিএমডব্লিউ বা পাজেরোতে চড়ে, তারা মাত্র ১%। তাই আমরা সাধারণ বাসযাত্রীরা যদি প্রতিবাদ করতে শিখি, তাহলে কিশোর-যুবক বাস ড্রাইভারদের এসব রেস অ্যাডভেঞ্চার বন্ধ হয়ে যাবে। একটা বাসের এত এত যাত্রী মিলে যদি আমরা দু-তিনজন ড্রাইভার-হেলপারের অন্যায়ের প্রতিবাদ না করতে পারি, তাহলে আমাদের রাস্তায় বের হওয়ার কোনো দরকারই নেই।’