এফডিসি-মসজিদে বৃষ্টির হানা
শুরু হয়েছে মাহে রমজান। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যেমন রোজা রাখছেন, তেমনি নামাজও পড়ছেন। বিশেষ করে তারাবির নামাজে মানুষ বেশি হচ্ছে। সব মসজিদের মতোই এফডিসির ভেতরের মসজিদেও তারাবির নামাজ আদায় করছেন চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্টরা। তবে মসজিদটি নতুন করে নির্মাণের উদ্দেশ্যে ভাঙা হচ্ছে বলে বৃষ্টির সময় নামাজ আদায় করতে সমস্যা হচ্ছে মুসল্লিদের।
এফডিসি মসজিদের ইমাম মুফতি আবদুল রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা সব নামাজের পাশাপাশি তারাবির নামাজ পড়ছি এখন। তবে বৃষ্টি নিয়ে একটু আতঙ্ক কাজ করে। কারণ মাত্র ৩০ মিনিট বৃষ্টি হলেই মসজিদের রাস্তায় পানি জমে জায়, যা পরিষ্কার হতে কয়েক ঘণ্ট সময় লাগে। তা ছাড়া নামাজের সময় বৃষ্টি হলে মুসল্লিরা ভিজে যান। কারণ আমাদের মসজিদের সব দরজা-জানালা ভাঙা হয়েছে। তারাবির নামাজের সময় একটু বেশিই আতঙ্ক কাজ করে, কারণ দিনের বেলায় বৃষ্টি হলে আমরা সাউন্ড বিল্ডিংয়ে গিয়ে নামাজ পড়তে পারি। কিন্তু তারাবির সময় তা সম্ভব না। সন্ধ্যায় ওই বিল্ডিং বন্ধ থাকে।’
সন্ধ্যা পর্যন্ত চলচ্চিত্রের কাজ চললে তখন সংশ্লিষ্টরা কলাকুশলী ও শিল্পীরা এই মসজিদে আসেন নামাজ পড়ার জন্য। সব মিলিয়ে তারাবির সময় ৩০ থেকে ৪০ জন এখানে নামাজ আদায় করেন বলে জানান আবদুল রহমান। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে ভেঙে ফেলা জানালা ও দরজায় ত্রিপল টাঙিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। বলেন, ‘জানালা দরজায় যদি কিছু ত্রিপাল দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়, তা হলে আর বৃষ্টির পানি কারো গায়ে লাগবে না।’
প্রায় এক বছর ঝুলে থাকার পর গত ২৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার এফডিসিতে নতুন মসজিদ নির্মাণের অনুমতি পায় মজিদ মোল্লা ফাউন্ডেশন। নিজেদের অর্থায়নেই তাঁরা এই মসজিদটি গড়ে দিচ্ছেন। নরসিংদীর থারমেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপক পরিচালক ও মজিদ মোল্লা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান দানবীর আবদুল কাদির মোল্লা নিজস্ব অর্থায়নে মসজিদটি নির্মাণ করে দিচ্ছেন। প্রশাসনিক জটিলতার কারণে অনেক দিন ধরেই ঝুলে ছিল মসজিদ সংস্কারের কাজ। আগামী ডিসেম্বরে শীতের সময় নতুন মসজিদ নির্মাণের কাজ পুরোদমে শুরু হবে বলে জানিয়েছে ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ। মসজিদ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে দুই কোটি টাকা।