ঢাকের আওয়াজ শুনে বড় হয়েছি : চয়নিকা চৌধুরী
বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে গতকাল। দুর্গাপূজা উপলক্ষে নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী ‘উপহার’ নামে একটি নাটক নির্মাণ করেছেন। এই নাটক ছাড়াও পূজা কীভাবে কাটছে ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন চয়নিকা চৌধুরী।
এনটিভি অনলাইন : পরিবারের সঙ্গে পূজা কীভাবে কাটছে?
চয়নিকা চৌধুরী : সবাই তো আমরা যে যাঁর কাজে ব্যস্ত থাকি। তবে এবার কাজের ব্যস্ততা কেউ রাখিনি। কারণ, সৃষ্টির (চয়নিকা চৌধুরীর মেয়ে) বাবা খুব অসুস্থ। আমরা সবাই মিলে তাঁর টেককেয়ার করছি। তবে অষ্টমীর দিন মেয়েকে নিয়ে বনানী পূজামণ্ডপে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। ঠাকুর দর্শন করব। সেদিন হয়তো আমার ছেলে ওর বাবার সঙ্গে বাসায় থাকবে।
এনটিভি অনলাইন : পূজা উপলক্ষে বিশেষ রান্না করার পরিকল্পনা আছে?
চয়নিকা চৌধুরী : এটা প্রতি দুর্গাপূজায় আমি করি। পোলাও, লুচি, লাবড়া, খাসির মাংস, মুরগি রান্না করব। এ ছাড়া নারকেলের নাড়ু বানাব। নাড়ু আমার কিছু সহশিল্পীর বাসায় পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এটা আমি প্রত্যেক পূজায় করে থাকি।
এনটিভি অনলাইন : সহশিল্পীদের সঙ্গে পূজা কীভাবে কাটে?
চয়নিকা চৌধুরী : কারো সঙ্গে দেখা হয় না। আগেই বলেছি, খাবার কারো কারো বাসায় পাঠিয়ে দিই। এ ছাড়া সবার সঙ্গে ফোনে ও মেসেঞ্জারে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়।
এনটিভি অনলাইন : আপনি তো পুরান ঢাকায় বড় হয়েছেন। সেখানে কাটানো পূজার দিনগুলোর কথা মনে আছে?
চয়নিকা চৌধুরী : খুব মনে আছে। পুরান ঢাকার ঢাকের আওয়াজ শুনে বড় হয়েছি। পূজার সময় নতুন পোশাক ও জুতা নিয়ে অনেক রোমাঞ্চিত থাকতাম। কাউকে পূজার পোশাক দেখাতে চাইতাম না। আমার মা খুব জনপ্রিয় টিচার ছিলেন। দশমীর দিন অনেক মানুষ আমাদের বাসায় বেড়াতে আসতেন। মা তাঁদের সবাইকে রান্না করে খাওয়াতেন। আর দুর্গামাকে বিসর্জনের সময় মন খুব খারাপ হতো। বুড়িগঙ্গায় কখনো দেবী বিসর্জন দেখতে যাওয়া হয়নি। তবে দুর্গামাকে বিসর্জনের জন্য যখন নিয়ে যাওয়া হতো, তখন বাসা থেকে সেই দৃশ্য দেখতাম।
এনটিভি অনলাইন : এবার নাটক নিয়ে কথা বলি। তিন বছর ধরে পূজার নাটক নির্মাণ করছেন। কেমন সাড়া পান?
চয়নিকা চৌধুরী : দারুণ। কারণ, আগে তো দুর্গাপূজা চ্যানেলগুলোতে খুব বেশি অনুষ্ঠান দেখানো হতো না। এখন অনেক টেলিভিশন চ্যানেল হয়েছে। পূজা উপলক্ষে এখন অনেক নাটকও নির্মাণ হয়। তাই এখন পূজার নাটক নির্মাণ করতে পারছি। এটা অবশ্যই ভালো লাগার ব্যাপার। কারণ আমি বিশ্বাস করি, ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’। এবার ‘উপহার’ নাটকটি নির্মাণ করেছি। নাটকটির গল্প রোমান্টিক। আশা করছি, নাটকটি সবার ভালো লাগবে।