শুটিংয়ের কারণে দেশে এসেছি : মিলা
মিলা হোসেন, ২০০০ সালে লাক্স-আনন্দধারা মিস ফটোজেনিক হয়েছিলেন। এরপর মডেলিং ও অভিনয় করে দ্রুত জনপ্রিয়তা পান তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন এই মডেল। মাঝেমধ্যে ঢাকায় এলে নাটকে অভিনয় করা হয় তাঁর। গত ১ আগস্ট ঢাকায় এসেছেন মিলা। এবার ঢাকায় আসার কারণ ও অন্যান্য বিষয়ে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
এনটিভি অনলাইন : কেমন আছেন?
মিলা হোসেন : গত বছর ঢাকায় এসেছিলাম। তখন শরীর ভালো ছিল। কিন্তু এবার ঢাকায় আসার পর থেকে শরীর একটু খারাপ লাগছে। জ্বর হয়েছে।
এনটিভি অনলাইন : এবার ঢাকায় আসার আপনার কারণ কী?
মিলা হোসেন : শুটিং আছে। এবার বিজ্ঞাপন ও নাটকের শুটিংয়ের কারণে দেশে এসেছি। আসছে ১২ ও ১৩ তারিখে সুমন আনোয়ার পরিচালিত একটি নাটকের শুটিং করব। আবার ১৫ তারিখে একটি বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে শুটিং করব। অনেক বড় বাজেটের বিজ্ঞাপন হবে এটি।
এনটিভি অনলাইন : আপনার সহশিল্পীদের সঙ্গে দেখা হয়েছে?
মিলা হোসেন : হ্যাঁ। অনেকের সঙ্গে হয়েছে। নোবেল ভাইয়ার সঙ্গে কিছুদিন আগে দেখা হলো। আর সজলের সঙ্গে তো প্রায় প্রতিদিনই দেখা হচ্ছে। আমার অনেক ভালো বন্ধু সজল। ফেসবুকে এবার কোনো সহশিল্পীর সঙ্গে ছবি পোস্ট করিনি।
এনটিভি অনলাইন : যুক্তরাষ্ট্রে তো কিছুদিন আগে একটা নাটকের শুটিং করেছেন?
মিলা হোসেন : হ্যাঁ। নাটকের নাম ‘অনাহত’। আমার বিপরীতে অভিনয় করেছেন টনি ডায়েস। নাটকটি পরিচালনা করেছেন সৈয়দ জামিম। নাটকের গল্প অনেক বাস্তবধর্মী। শুটিংও দুর্দান্ত হয়েছে। বিদেশে শুটিং হয়েছে বলে যে নাটকের গল্পে জোড়াতালি দেওয়া হয়েছে, বিষয়টা এ রকম নয়। এর আগে নিউইয়র্কে কিছু নাটকের শুটিং হয়েছে, আমার সেগুলো তেমন ভালো লাগেনি। যা হোক, ‘অনাহত’ নাটকটি দেশের একটি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হবে।
এনটিভি অনলাইন : দেশে ফিরে শুটিং করতে কোনো সমস্যা হয় কি?
মিলা হোসেন : একটু তো হয়ই। কারণ, বেশি কস্টিউম আনতে পারি না। আসলে নিজের বাসা থেকে শুটিং অনেক আরাম করে করা যায়। আর দেশে এলে অনেকের সঙ্গে দেখা হয়। এটা বিদেশে তো সম্ভব নয়। এটা অবশ্যই ইতিবাচক দিক।
এনটিভি অনলাইন : আবার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরবেন কবে?
মিলা হোসেন : শুটিং শেষ হলে চলে যাব। ২২ তারিখে নিউইয়র্কে ফেরার কথা রয়েছে।