এসিডদগ্ধ নারীর প্রতি দৃষ্টি বদলানো উচিত : টয়া
মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া, সাবলীল অভিনয় করে পেয়েছেন জনপ্রিয়তা। টয়া অভিনীত দ্বিতীয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘রূপ’ অনলাইনে মুক্তি পেয়েছে গতকাল শনিবার। ছবিটি পরিচালনা করেছেন ভি কি জাহিদ। টয়ার বিপরীতে অভিনয় করেছেন সাগর আহমেদ। ছবিটিতে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন টয়া।
এনটিভি অনলাইন : ‘রূপ’ ছবিতে আপনি এসিডদগ্ধ নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। চরিত্রটি সম্পর্কে কিছু বলুন।
মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া : এখানে আমার চরিত্রের নাম রাবেয়া। দেখতে অনেক রূপবতী সে। ভালোবাসা প্রত্যাখ্যান করায় বখাটে একটা ছেলে তার মুখে এসিড ছোড়ে। বদলে যায় রাবেয়ার জীবন। একসময় সে প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। সাহস নিয়ে একদিন এর প্রতিশোধ নেয়। এভাবে এগিয়ে যায় গল্প।
এনটিভি অনলাইন : প্রথমবারের মতো এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করলেন। কেমন ছিল কাজের অভিজ্ঞতা?
মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া : এসিডদগ্ধ নারীদের প্রতি সমাজের দৃষ্টি বদলানো উচিত। শুটিং করতে গিয়ে এটা ভালোভাবে আমি উপলব্ধি করতে পেয়েছি। শুটিংয়ের প্রয়োজনে এসিডদগ্ধ নারীর মেকআপ আমাকে নিতে হয়েছে। যখন আমরা রাস্তায় শুটিং করছিলাম, তখন অনেক পথচারী বুঝতে পারেনি যে আমি টয়া কিংবা আমরা শুটিংয়ে আছি। সবাই আমার দিকে একটু বাঁকা কিংবা অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকাচ্ছিল। বুঝুন তাহলে, আমাদের সমাজে যাঁরা এসিডদগ্ধ হয়েছেন, তাঁদের কষ্ট কতটা হতে পারে! আর এ ধরনের মেকআপ নিয়ে শুটিং করাও অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। ত্বকের ওপর প্রভাব পড়ে। শুটিংয়ের পরে আমাকে ত্বকের বাড়তি যত্ন নিতে হয়েছে।
এনটিভি অনলাইন : এ ধরনের চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে আপনাকে কি আবারও দেখা যাবে?
মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া : আমি এ ধরনের চরিত্রের অপেক্ষায় আসলে থাকি। আমি মনে করি, একজন অভিনেত্রীর সমাজের প্রতি অনেক দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের সমাজে ভিকটিম নারীদের নিয়ে সচেতনতামূলক অনেক গল্পে কাজ করতে আমি আগ্রহী।
এনটিভি অনলাইন : অভিনয় ছাড়া সমাজ উন্নয়নমূলক কাজ আপনি কি করতে চান?
মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া : অবশ্যই। খুব চাই। আমার বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। আমি সেখানে স্কুল দেওয়ার পরিকল্পনা করছি। আমি নিজেও সেখানে ক্লাস নেব। এ ছাড়া অধিকারবঞ্চিত নারী ও শিশুদের নিয়ে কাজ আমি করতে চাই। এখন সময়ের অপেক্ষা।