রেকর্ড গড়েই চলেছে ‘বাহুবলি-২’
ঝড় কোনোমতেই থামছে না। একের পর এক চুরমার করে দিয়ে যাচ্ছে সবকিছু। কারণ, ঝড়টির নাম যে ‘বাহুবলি : দ্য কনক্লুশন’। বক্স-অফিসের সব রেকর্ড মুখ থুবড়ে পড়ছে বাহুবলির সামনে। বাহুবলির সাফল্যের ঝড়ে যুক্ত হচ্ছে একের পর এক পালক। এনডিটিভির একটি খবরে জানা যায়, গত সোমবার বিশ্বব্যাপী আয় দিয়ে ভারতীয় ছবি হিসেবে বক্স-অফিসের বিগত আয়ের সব রেকর্ড ভেঙে এক হাজার কোটি রুপির (১৫৬ মিলিয়ন ডলার) নতুন রেকর্ড গড়েছে ‘বাহুবলি : দ্য কনক্লুশন’।
তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একজন বিশ্লেষক বলেছেন, এই আয়ের ফলে তেলেগু তো বটেই, গোটা ভারতে সবচেয়ে বেশি আয় করা ছবির মর্যাদা পেয়েছে বাহুবলি। মুক্তির আগেই ভক্তদের মাঝে উন্মাদনা সৃষ্টি করা বাহুবলি-২ সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমার দৌড়ে পেছনে ফেলেছে ২০১৪ সালে মুক্তি পাওয়া আমিরের কল্পবিজ্ঞানকেন্দ্রিক চলচ্চিত্র ‘পিকে’কে। ১২০ মিলিয়ন ডলার আয় করে গোটা ভারতে সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমার তকমা এত দিন দখলে রেখেছিল ‘পিকে’। কিন্তু মাহিশমাতের রাজার কাছে রাজ্য হারিয়েছে ‘পিকে’।
এ সাফল্যে ভারতের গণমাধ্যমে বাহুবলি-২ বন্দনার পরিমাণও বেড়েছে। ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে সব সময় কড়া নজরে রাখা বলিউড হাঙ্গামা ডটকম বলছে, বাহুবলি-২ সবচেয়ে বেশি আয় করে নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে। এস এস রাজমৌলী পরিচালিত ছবিটিতে দীর্ঘ যুদ্ধের দৃশ্য এবং তাতে ব্যবহার করা কম্পিউটার গ্রাফিকসের কারণে বাহুবলিকে তারা তুলনা করছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র ‘৩০০’-এর সাথে।
বাহুবলি-২ যতটা আয় করেছে, তার ধারেকাছেও যেতে পারেনি ‘বাহুবলি : দ্য বিগিনিং’। ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া বাহুবলি আয় করেছিল প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার। তবে শুনলে আপনি হয়তো অবাক হবেন, বাহুবলির দুই খণ্ড নির্মাণে ছবিটির প্রযোজক খরচ করেছেন মাত্র ৭০ মিলিয়ন ডলার।