কারিশমা কাপুর ৪১ নটআউট

গত শতকের শেষের দশক, অর্থাৎ ১৯৯০-এর দশকজুড়ে বলিউডের হার্টথ্রব নায়িকা ছিলেন কারিশমা কাপুর। সবুজ চোখের এই নায়িকা আজ পা রাখলেন একচল্লিশে। ১৯৭৪ সালের ২৫ জুন জন্মেছিলেন কারিশমা কাপুর। বলিউডের বিখ্যাত কাপুর পরিবারের সন্তান কারিশমার বাবা বিখ্যাত অভিনেতা রণধীর কাপুর এবং মা বিখ্যাত অভিনেত্রী ববিতা।
১৯৯০-এর দশকে মেয়েদের জন্য ফ্যাশন আইকন ছিলেন কারিশমা কাপুর। ১৯৯১ সালে ‘প্রেম কয়েদি’ ছবির মাধ্যমে মাত্র ১৭ বছর বয়সে বলিউড যাত্রা শুরু করেছিলেন লোলো (কারিশমার ডাকনাম)। এতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন গোবিন্দ। কাপুরকন্যা হিসেবে রক্তেই ছিল অভিনয়; কিন্তু তার পরও অভিনয়ে নামতে নাকি পরিবারের সবাইকে বেশ কষ্ট করে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে রাজি করতে হয়েছিল কারিশমাকে।
কাপুর পরিবারের ঐতিহ্য ভেঙে কারিশমাই প্রথম কাপুরকন্যা, যিনি পর্দায় আবেদনময়ীরূপে হাজির হন। রূপে-গুণে-অভিনয়ে এবং নাচে-গানে মানুষের মন জয় করে নেন তিনি। ১৯৯৮ সালে ‘দিল তো পাগল হ্যায়’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রীর ক্যাটাগরিতে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জেতেন কারিশমা।
‘জুবাইদা’ (২০০১) এবং ‘ফিজা’ (২০০০), ‘শক্তি’ (২০০২) ছবিতে অনবদ্য অভিনয় করে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, শুধু আবেদনময়ী হিসেবে নন, অভিনেত্রী হিসেবেও তিনি অত্যন্ত সফল। ‘জুবাইদা’ এবং ‘ফিজা’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য পান ফিল্মফেয়ারে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার। নব্বইয়ের দশকজুড়ে ৪০টির বেশি ছবিতে অভিনয় করেন কারিশমা।
গোবিন্দ-সালমান-শাহরুখ-অনিল কাপুর-সুনীল শেট্টি নব্বইয়ের দশকে বলিউডের জনপ্রিয় সব অভিনেতার সঙ্গেই জুটি বেঁধে সফল হয়েছিলেন কারিশমা। বিশেষ করে ‘গোবিন্দ-কারিশমা’ বা ‘সালমান-কারিশমা’ জুটি এখনো বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি।
সংসারে বাঁধা পড়ার পর থেকে বলিউড থেকে ধীরে ধীরে নিজেকে সরিয়ে নেন কারিশমা। ২০১২ সালে সর্বশেষ বিক্রম ভাটের সুপারন্যাচারাল থ্রিলার ‘ডেঞ্জারাস ইশক’ ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। যদিও বক্স অফিসে সমাদর পায়নি ছবিটি।