দেশের গানে আবারও সাবিনা ইয়াসমিন

উপমহাদেশের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন প্রথমবারের মতো গীতিকবি সহিদ রাহমানের কথায় কণ্ঠ দিয়েছেন ।
দেশাত্মবোধক গানের কথাগুলো এমন ‘বাংলার মাটিতে লেখা, কত নাম রক্তাক্ষরে, মুক্তিযুদ্ধের সে কথা, বল ভুলে যাই কি করে? স্বদেশকে ভালোবেসে যারা জীবনটা দিয়ে গেছে হেসে, তাদেরই জন্য এই মালা। কথা সুরে গাঁথা স্মৃতি বুকে রাখি ভরে।’ গানটির সুর করেছেন আরেকজন কিংবদন্তি সুরকার আলাউদ্দীন আলী। গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন মকসুদ জামিল মিন্টু।
গানটি প্রসঙ্গে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘অনেক দিন পর হৃদয় নিংড়ানো কথায় একটি গান গাইলাম। দেশকে স্বাধীন করার জন্য শহীদ ভাইদের যে ত্যাগ তা তো শোধ করার নয়। তবে এই গান আমার পক্ষ থেকে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি।’
আলাউদ্দীন আলী বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর সাবিনা ইয়াসমিনের জন্য সুর করলাম। তাও সহিদের মতো গুণী একজন গীতিকারের কথায়। সবমিলিয়ে এই গানটিও মানুষ মনে রাখবে বলে বিশ্বাস করি।’
এই গানটি ছাড়াও সহিদ রাহমানের কথায় আরেকটি গানের সুর ও সঙ্গীতায়োজন করেছেন ইবরার টিপু। আর তাতে কণ্ঠ দিয়েছেন এ সময়ের জনপ্রিয় আটজন তরুণ সঙ্গীতশিল্পী। তাঁরা হলেন ইবরার টিপু, পারভেজ, সাব্বির, পুলক, পুতুল, রন্টি দাস, ঝিলিক ও বিন্দুকনা।
‘আমি সেই দিন ফিরে আসব স্বদেশের বুকে/ যে দিন শহীদ স্মরণে প্রিয়তম স্বাধীনতাকে/ আপন করে হৃদয়ে গেথে নেবে’-এমন কথার গানটিতে উঠে এসেছে ভাষা শহীদ ও স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের অবদানের কথা এবং আরো রয়েছে শহীদ জননী ও বিরাঙ্গনাদের অধিকারের কথা।
গান দুটির গীতিকার সহিদ রাহমান বলেন, ‘সব প্রজন্মের বাঙালিদের মধ্যে দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের প্রতি শহীদের অবদানের কথা তুলে ধরতে গান দুটি লিখেছি। আর শিল্পী হিসেবে সাবিনা ইয়াসমিন ও তরুণদের বেছে নেওয়ার কারণও এটা। যাতে সব প্রজন্মের কাছে গান দুটি পৌঁছে যায়।’