ওষুধের দোকানে কাজ করতেন মাহিরা
রাহুল ঢোলাকিয়া পরিচালিত ‘রইস’ ছবিটিতে গুজরাটের এক আন্ডারওয়ার্ল্ড ডনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাহরুখ খান। এই ছবিতে কিং খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী মাহিরা খান। ছবিটিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়েই বলিউডে যাত্রা শুরু করছেন পাকিস্তানের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত এই নায়িকা। ছবিটির দুটি গান ‘জালিমা’ ও ‘উড়ি উড়ি যায়ে’ মুক্তি পাওয়ার পর এ দুজনের জমজমাট রসায়ন নিয়ে উচ্ছ্বসিত দর্শক। ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পেতে যাওয়া ‘রইস’ ছবিটির নায়িকা মাহিরা খানের অজানা কিছু তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে জুম টিভিতে। নিচে এই তালিকা প্রকাশ করা হলো।
১. মাহিরা খান ও আলি আসকারি প্রথম দেখায় একজন আরেকজনের প্রেমে পড়েন। এর পর ২০০৭ সালে বিয়ে করেন তাঁরা। ২০১৫ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটে।
২. আজলান নামের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে মাহিরার। তিনি যেখানে যেখানে কাজ করেন, সেখানে ছেলেকে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পান।
৩. লস অ্যাঞ্জেলেসের ওষুধের দোকানে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে মাহিরা খান তাঁর ক্যারিয়ার শুরু করেন।
৪. মাত্র ১৬ বছর বয়সে মাহিরা খান পাকিস্তানের এমটিভির ‘মোস্ট ওয়ানটেড’ নামে একটি জনপ্রিয় লাইভ শোর উপস্থাপনা করতেন, যেটি সপ্তাহে তিন দিন দেখানো হতো।
৫. ‘রইস’ ছবিতে কাজ করার আগে অনেক বলিউড ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মাহিরা খান।
৬. ২০১২ সালে মাহিরা খান পাকিস্তানের সবচেয়ে সুন্দরী নারীদের তালিকায় নাম লেখান। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের সবচেয়ে বেশি আবেদনময়ী নারীর খেতাব পান তিনি। এরপর এশিয়ান সেরা ১০ আবেদনময়ী নারীর তালিকায় তাঁর নাম উঠে আসে।
৭. মাধুরী দীক্ষিতের দারুণ ভক্ত মাহিরা। শাহরুখ খান, সালমান খান ও হৃতিককেও ভীষণ পছন্দ তাঁর।
৮. ২০১১ সালে পাকিস্তানের ‘বোল’ ছবিতে কাজ করার মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে মাহিরা খানের।
৯. রং ফর্সাকারী ক্রিমের বিজ্ঞাপন প্রচারের বিরুদ্ধে মাহিরা খান একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
১০. নেদারল্যান্ডসে ঘুরতে যেতে অনেক বেশি পছন্দ করেন মাহিরা খান।