চলচ্চিত্রের গানই দীর্ঘদিন বেঁচে থাকে : ইমরান
সংগীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুল গান গেয়ে যেমন জনপ্রিয়তা পেয়েছেন, তেমনি নিজের গানের মিউজিক ভিডিওর মডেল হয়েও বেশ আলোচিত হন তিনি। চলতি বছর অডিও গানের অ্যালবাম, চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক, মিউজিক ভিডিও সব মিলিয়ে দারুণ ব্যস্ত সময় পার করেছেন তিনি। আগামী বছরের পরিকল্পনা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে সম্প্রতি কথা বলেছেন ইমরান।
এনটিভি অনলাইন : এ বছর কেমন কাটল?
ইমরান : আমি তো আমার মতো করে কাজ করি। কোনো গানে কণ্ঠ কিংবা সুর করার আগে খুব সতর্ক থাকি। যত্ন নিয়ে কাজটা করি। কাজ করার সময় আমি সফল হবো নাকি বিফল হবো, এ নিয়ে চিন্তা করি না। তবে কাজের ফল বরাবর আমি ভালো পাই। আমার দর্শক-শ্রোতারা প্রতিবছরের মতো এবারও আমাকে ভালোবাসা দিয়েছেন। ‘ফিরে এসো না’, ‘দিল দিল দিল’ গানের রেসপন্স অনেক বেশি ছিল। এ বছরও আমার ফাটাফাটি কেটেছে।
এনটিভি অনলাইন : অডিও গানের থেকে আপনি চলচ্চিত্রে গানের প্লে-ব্যাক নিয়ে এখন ভীষণ ব্যস্ত। নতুন বছরে গান নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?
ইমরান : চলচ্চিত্রের গান নিয়ে আরো বেশি সিরিয়াস হতে চাই। যখন দর্শক বড় পর্দায় কোনো গান দেখেন, তখন তাঁদের মনে গানটা সহজে গেঁথে যায়। আর চলচ্চিত্রের গানই দীর্ঘদিন বেঁচে থাকে। নতুন বছরে ‘তুমি যে আমার’, ‘ধ্যাৎতিরিকি’ ছবি দুটিতে আমার গান থাকবে। এ ছাড়া আরো অনেক চলচ্চিত্রে গানের কথাবার্তা চলছে। এখন চলচ্চিত্রের গানের বাজারটাও অনেক বেড়েছে। দর্শক-শ্রোতাদের আমি এতটুকু আশ্বস্ত করতে পারি, নতুন বছরে চলচ্চিত্রে গানই আমি বেশি গাইব।
এনটিভি অনলাইন : আপনার গাওয়া গানগুলোর যেসব মিউজিক ভিডিও হয়, মূলত সেই গানগুলো তুলনামূলক বেশি জনপ্রিয় হয়। এর কারণ কী?
ইমরান : আমার কাছে মনে হয়, একটা অডিও গানের ট্রিটমেন্ট মিউজিক ভিডিও। কারণ, এখন সবাই ইউটিউব নির্ভরশীল। মিউজিক ভিডিও টিভি চ্যানেলে দেখানো হলেও ইউটিউবে বেশিরভাগ দর্শক সেটা দেখছেন, যার কারণে যে গানটার মিউজিক ভিডিও হচ্ছে, সেটার আলোচনাও বেশি।
এনটিভি অনলাইন : শুনলাম আপনি অভিনয় করার অনেক প্রস্তাব পাচ্ছেন?
ইমরান : বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এখন অভিনয়ের প্রস্তাব বেশি পাচ্ছি। সামনের ভালোবাসা দিবসের জন্য একটা নাটক করার প্রস্তাব পেয়েছি। সত্যি বলতে, অভিনয়কে আমি অনেক সম্মান করি। গান যেমন সস্তা নয়, তেমনি অভিনয়ও অত সহজ কাজ নয়। গান আমি গাইতে পারি, কিন্তু অভিনয় জানি না। কখনো অভিনয় শেখাও হয়নি। তাই অভিনয় করার ইচ্ছে কখনো আমার নেই। তারপরও অনুরোধের ঢেঁকি কখনো গিলতে হবে কি না, সেটা এখন বলতে পারব না।