‘আগামী বছর দেশে আসব’
একসময়ের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী টনি ডায়েস যুক্তরাষ্ট্রে ২০০৯ সাল থেকে স্থায়ীভাবে বাস করছেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী পিয়া ডায়েস ও একমাত্র মেয়ে অহনা। যুক্তরাষ্ট্রের হুন্ডা নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছেন টনি ডায়েস। বড়দিনে কী করবেন ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আজ শুক্রবার দুপুরে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে মুঠোফোনে আলাপ করেছেন টনি ডায়েস।
এনটিভি অনলাইন : বড়দিনের ছুটিতে কী করার পরিকল্পনা করেছেন?
টনি ডায়েস : যুক্তরাষ্ট্রে কাজে ছুটি পাওয়া কঠিন। বড়দিন উপলক্ষে বেশ কিছুদিন ছুটি পেয়েছি। যুক্তরাষ্ট্র তো অনেক বড় দেশ। আমরা নিউইয়র্কের হিকসভিলে থাকি। এখনো অনেক জায়গা দেখা হয়নি। এখানে আমার মা, স্ত্রী, মেয়ে, শাশুড়ি আছেন। এ ছাড়া অনেক কাছের আত্মীয় রয়েছেন। পরিবারের সবাইকে নিয়ে কয়েক দিন বেড়ানোর পরিকল্পনা করছি। আর আগামীকাল শনিবার সন্ধ্যায় আমাদের বাসায় কাছের বন্ধুদের দাওয়াত দিয়েছি। বন্ধুরা সবাই আসবে। আশা করছি, অনেক আনন্দ হবে।
এনটিভি অনলাইন : যুক্তরাষ্ট্রে বড়দিন পালন করতে কেমন লাগে?
টনি ডায়েস : বড়দিনে বাংলাদেশের স্মৃতি অনেক মনে পড়ে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে বড়দিন পালন করার মজা একদম আলাদা। এ দেশে নভেম্বরের শুরু থেকে বড়দিনের আমেজ শুরু হয়। শপিংমল, বাসা ক্রিসমাস ট্রি দিয়ে সাজানো হয়। এ ছাড়া রেডিওতে ক্রিসমাস ডে উপলক্ষে অনেক গান বাজানো হয়। এ সময় সবাই খুব আন্তরিকতা নিয়ে ‘হ্যাপি হলিডেস’ কিংবা ‘হ্যাপি ক্রিসমাস’ বলে। বড়দিন উপলক্ষে আমরা আমাদের বাসাও সুন্দরভাবে সাজিয়েছি।
এনটিভি অনলাইন : চলতি বছরে আপনার ‘পৌষ মাসের পিরিত’ চলচ্চিত্রটি নিউইয়র্কের একটি থিয়েটার হলে দেখানো হয়েছিল। কেমন সাড়া পেয়েছেন?
টনি ডায়েস : সিনেমার শুটিং তো অনেক আগে হয়েছিল। মুক্তি পেল অনেক দেরিতে। তবুও ভালো লেগেছে। এখানকার একটি থিয়েটার হলে ছবিটি যখন দেখানো হয়, তখন দর্শক অনেক হয়েছিল। হলভর্তি দর্শক ছিল। প্রবাসী বাঙালিরা ছবিটা অনেক পছন্দ করেছেন। আমার মেয়ে অহনারও ছবিটি ভালো লেগেছে। অহনা তো প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের এই সিনেমাটা দেখেছে। তাই সে বেশ উচ্ছ্বসিত ছিল। এখানে সিনেমা দেখতে ১০ ডলার লাগে। আমাদের দেশের সিনেমা এখানে নিয়মিত চালানো হলে খুব ভালো হবে। তবে প্রথমে লাভের আশা করলে ভুল হবে। ধীরে ধীরে হয়তো এটা ব্যবসাসফল হবে। শুধু গুটিকয়েক বিদেশি উৎসবে যোগ দিয়ে পুরস্কার আনলে হবে না। আমি চাই, গোটা পৃথিবীতে আমাদের দর্শক তৈরি হোক। ছবিগুলো শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও মুক্তি পাক।
এনটিভি অনলাইন : অনেক অভিনেতা এখন প্রযোজক হিসেবেও কাজ করছেন। আপনার কি সে রকম ইচ্ছা আছে?
টনি ডায়েস : ইচ্ছা তো আছে। তবে কাজটা করা অনেক চ্যালেঞ্জিং হবে। আমার সাবেক সহকর্মী ও বন্ধু-বান্ধবরা বলেন, বাংলাদেশে কাজের ধরন এখন একদম পাল্টে গেছে। মাঝেমধ্যে ইচ্ছা হয়, এখানে কিছু অনুষ্ঠান তৈরি করে বাংলাদেশের চ্যানেলগুলোতে পাঠাই। কিন্তু কে সেগুলো প্রচার করবে? সেই দ্বিধায় থাকি।
এনটিভি অনলাইন : বাংলাদেশে শেষ কবে এসেছিলেন?
টনি ডায়েস : ২০১৩ সালে অল্প সময়ের জন্য দেশে এসেছিলাম। দেখি, আগামী বছর দেশে আসব। অনেক দিন ধরে পরিকল্পনা করছি ২০১৭ সালে দেশে আসার। অফিসেও বলেছি। সবকিছু ব্যাটে-বলে মিললে লম্বা ছুটি নিয়ে দেশে আসার পরিকল্পনা করছি।