আসছে ‘তুখোড়’ শিবলী
আগামী বছরের ৬ জানুয়ারি মুক্তি পাবে শিবলী-রাতশ্রী জুটির ছবি ‘তুখোড়’। ছবিটিতে শিবলী-রাতশ্রীসহ আরো অভিনয় করেছেন সামিহা খান ও সাদিয়া সোমা। ছবিটি পরিচালনা করেছেন মিজানুর রহমান লাবু।
এই ছবি দিয়েই চলচ্চিত্রে অভিষেক হচ্ছে নায়ক শিবলী নওমানের। এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন শিবলী।
প্রশ্ন : ‘তুখোড়’ ছবিটি নিয়ে আপনি কতটা আশাবাদী?
উত্তর : আমার জায়গা থেকে আমি ‘তুখোড়’ নিয়ে আশাবাদী। ঠিক কতটা সেটা পরিমাপ করে বলা মুশকিল। তবে এতটুকু বলতে পারি তুখোড়ের গল্পের প্রেজেন্টেশনে দর্শক অন্য রকম কিছু দেখবেন। আর সেটাকে পজিটিভলি গ্রহণ করবে আশা করি। কারণ আমি এবং আমরা, আমাদের কাজটা শুধুমাত্র করলেই হবে না, যাদের জন্য করি সেই দর্শকদের স্বীকৃতি পাওয়াটা খুব জরুরী। আমরা পুরো ‘তুখোড়’ টিম আমাদের কাজটি শতভাগ শ্রম ও সততার সাথে করেছি, আর তাই আমি বিশ্বাস করি সবার কাছ থেকে পজিটিভ ফিডব্যাক পাব।
প্রশ্ন : চলচ্চিত্রে কীভাবে যুক্ত হলেন?
উত্তর : চলচ্চিত্রের সাসঙ্গে যুক্ত হব এই স্বপ্ন বুনেছি আমি অনেক আগে থেকেই। আর সেজন্যই নিজেকে প্রস্তুত করছিলাম এবং এখনো প্রস্তুতি চলছে। তবে ক্যামেরার সামনে কাজ করার আগে আমার প্ল্যান ছিল ক্যামেরার পেছনে কাজ করার এবং সেই প্ল্যান মতোই আমি এগিয়েছি। কাজের সূত্রেই ‘তুখোড়’ চলচ্চিত্রের পরিচালক শ্রদ্ধেয় মিজানুর রহমান লাবু এবং কাহিনীকার শ্রদ্ধেয় মাহমুদুল হক রাজীব দুজনের সাথেই আমার পরিচয় ছিলো, অনেক সময় আমরা গল্প করে কাটিয়েছি ফিল্ম নিয়ে, ফিল্ম মেকিং অ্যান্ড ফিলোসোফি নিয়ে। তারা দুজনই জানতেন আমার প্রস্তুতির কথা। ওইসব গল্পেরর মধ্যেই যে তাঁরা দুজন আমাকে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন সেটা বুঝতে পারি হঠাৎ করে যখন একদিন তাঁরা বললেন যে, তাঁরা ফিল্ম বানাতে যাচ্ছেন এবং সে ফিল্মের কেন্দ্রীয় চরিত্র তুখোড় হচ্ছি আমি। আর তারপর থেকেই সজোরে শুরু হলো আমার ফিল্ম প্রস্তুতি, যা এখনো চলছে এবং চলতেই থাকবে।
প্রশ্ন : বর্তমানে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র কতটা বিশ্বমানের?
উত্তর : আমাদের বর্তমান পরিস্থিতিতে এই প্রশ্নের উত্তর ফিলোসোফিক ওয়ে ছাড়া দেয়া পসিবল না। (হাসি...) পকেট ডাল-ভাত খাবার মতো অবস্থায়, অনেক সময় তার চেয়েও খারাপ; এমন অবস্থায় আমি প্রতি বেলায় বিরিয়ানী খাবার স্বপ্ন দেখতে পারি শুধু, খাওয়া পসিবল না। কিন্তু যদি ক্ষুধা নিবারনের কথা চিন্তা করি তাহলে আমার দিব্যি চলবে। বিশ্বমান শুধু চাকচিক্যে না, সেটি হচ্ছে দৃষ্টিভঙ্গিতে। অফট্র্যাকে আমরা ভালো গল্পের চলচ্চিত্র দিতে পারছি কিন্তু কমার্শিয়ালি না। তবে ইনশাআল্লাহ খুব দ্রুতই পরিবর্তন আসবে।
প্রশ্ন : চলচ্চিত্রের জন্য কিভাবে নিজেকে তৈরী করছেন?
উত্তর : আমি নাট্যদল প্রাচ্যনাটের, ‘প্রাচ্যনাট স্কুল অব এক্টিং এন্ড ডিজাইন’-এ অভিনয়ের উপর প্রশিক্ষণ নিয়েছি। নাচ ও ফাইট শিখেছি কাজের সূত্র ধরে এবং তা কন্টিনিউ করছি। আর সবচেয়ে বড় স্কুল ইন্টারনেট আরো এক্স্যাক্টলি বললে ইউটিউব তো আছেই টিচার হিসেবে।
প্রশ্ন : দর্শকদের কাছে প্রত্যাশা?
উত্তর : আমার এবং আমাদের সব প্রত্যাশাই দর্শকদের কাছে। আমি আশা করি দর্শক আমাকে গ্রহণ করবে কিন্তু তার জন্য আমাকেও দর্শকের চাওয়া পূরণ করতে হবে। আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, পরিশ্রম করেছি, এখনো করছি। আশা করি দর্শক তার স্বীকৃতি দেবে। তুখোড়কে তারা গ্রহণ করবে।