হাস্যরসের নাটক নির্মাণ করতে পছন্দ করেন নির্মাতা-অভিনেতা শামীম জামান। প্রতি ঈদেই বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রচার হয় তাঁর নির্মিত একাধিক নাটক। তবে করোনার কারণে এবারের ঈদের জন্য তেমন একটা নাটক নির্মাণ করতে পারেননি। ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার আগেই শুট করেছিলেন ‘বাবার উপহার’ নাটকটি।

আগামীকাল বুধবার দুপুর ৩টায় শরৎ টেলিফিল্মের ইউটিউব চ্যানেলে অবমুক্ত হবে ঈদের বিশেষ একক নাটকটি। তারেক স্বপনের গল্পে নাটকটি চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন শামীম জামান। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন শামীম জামান, তারেক স্বপন, রাশেদ মামুন অপু, রাইসা রিয়া, পাপিয়া মণ্ডল, তাহমিনা কৃতিকা। এ নাটকের মাধ্যমে প্রথমবার শামীম জামানের বিপরীতে অভিনয় করলেন রাইসা রিয়া।

শামীম জামান বলেন, ‘ঈদের সময় মানুষ আনন্দের ইমেজে থাকেন, হাস্যরসের নাটক দেখতে পছন্দ করেন। করোনাভাইরাসের জন্য এখন মানুষ এমনিতেই একটু আতঙ্কের মধ্যে আছেন। যে কারণে এখন যতটা সম্ভব আনন্দের মধ্যে রাখা প্রয়োজন। এই নাটক দেখে দর্শক আনন্দ পাবেন। পাশাপাশি কিছু পরিবারিক বার্তা পাবেন।’

রাইসা রিয়া বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমি নাচ করছি। বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি বর্তমানে বেশ কিছু নাটকে কাজ করেছি। নায়িকা নয়, নিজেকে অভিনেত্রী হিসেবে দেখতে চাই। নাটকটি করে অনেক ভালো লেগেছে, আপনারা দেখে আনন্দ পাবেন। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।’

নাটকের গল্প প্রসঙ্গে শামীম জামান জানান, একজন সচেতন বাবা, তার তিন ছেলে ও এক মেয়ে। বাবা সব সময় চাইত তার সন্তানরা হাসিমুখে একসঙ্গে থাকুক। একপর্যায়ে বাবা বৃদ্ধ হওয়ার পর মারা যায়, মারা যাওয়ার সময় বড় ছেলের হাতে একটা সুন্দর উপহার দিয়ে যায়। সেই উপহারের কথা বউ-ছেলে ছাড়া কেউ জানত না। বাবা মারা যাওয়ার বেশ কিছুদিন পর ছোট দুই ছেলে ভাবত, তার বাবা গুপ্তধন রেখে গেছে, যা বড় ভাই একাই ভোগ করে। তাদের বাবার একটা উপদেশ ছিল, তারা যেন কখনো আলাদা না হয় এবং তাদের মধ্যে কখনো যেন ঝগড়া-বিবাদ না হয়। তাই বাবার কথামতো ছেলেমেয়েরা সম্মানের সহিত বসবাস করত। এদিকে ছোট দুই ভাই তার বাবার গুপ্তধন নিজেদের করে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন কৌশল বের করে। তারা সুযোগ নিতে থাকে। বড় ভাই যখন বাড়ি থেকে বের হয়, তখন তারা সেই গুপ্তধন চুরির উদ্দেশ্যে রুমে ঢুকে পড়ে এবং বিভিন্ন ঘটনা ঘটায়। এভাবে গল্পটি এগিয়ে যায়।