টিকটক দুনিয়ায় অন্যতম নাম রিয়াজ আলি। টিকটকে ভারতের এই বিগ বয়ের ফলোয়ার ৪২.৩ মিলিয়ন। বয়স ১৬ কি ১৭। এরই মধ্যে অন্তর্জাল দুনিনায় সাড়া ফেলেছেন। তাঁর ভিডিও প্রকাশমাত্র হু হু করে বাড়ে দর্শক। এই তারকার আয়ও কম নয়। এমন অনেক তারকাই বিপুল অর্থ আয় করেন।

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান ব্র্যান্ডস (আইআইএইচবি) এক গবেষণায় জানিয়েছে, টিকটক মাধ্যম থেকে রিয়াজ আলির বার্ষিক আয় ছিল পাঁচ থেকে ছয় কোটি রুপি। করোনা মহামারির এই সময় তাঁর ভিডিও দেখার হার আরো বেড়েছিল, অনায়াসে এ বছর আয় অতিক্রম করত আট থেকে নয় কোটি রুপি। যা হোক, সম্প্রতি ভারত সরকার সে দেশে চীনা অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ করেছে। ভারতের সংবাদমাধ্যম ফ্রি প্রেস জার্নালের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

ভারতের টিকটক দুনিয়ায় ফয়সাল শেখ ‘মিস্টার ফাইসু’ নামে পরিচিত। টিকটক থেকে এই তারকা আয় করতেন চার থেকে সাড়ে চার কোটি রুপি। লকডাউনে তা বাড়ছিল। কিন্তু টিকটক নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

টিকটক থেকে আরিশফা খানের আয়ও ছিল প্রায় চার থেকে সাড়ে চার কোটি রুপি। ভারতে টিকটকে ফলোয়ারের সংখ্যায় তিনি তৃতীয়। জান্নাত জুবাইর রহমানির ফলোয়ার ২৭.৬ মিলিয়ন। তিনি টিকটক থেকে আয় করতেন প্রায় পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ কোটি রুপি, যা ফয়সাল শেখ ও আরিশফা খানের চেয়ে বেশি।

জনপ্রিয় সুরকার ইসমাইল দরবারের ছেলে আবেজ দরবার। ফলোয়ারের তালিকায় তিনি পঞ্চম। টিকটক থেকে তাঁর আয় ছিল আড়াই থেকে তিন কোটি রুপি। এ বছর আরো বাড়ছিল।

ফলোয়ারের দিক থেকে নয় নম্বরে অন্বিত কৌর। টিকটক দুনিয়ায় তিনি আরেক উঠতি তারকা। তাঁর আয় ছিল প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন কোটি রুপি। তালিকার ১৮ নম্বরে আশিকা ভাটিয়া, তাঁরও বার্ষিক আয় ছিল তিন থেকে সাড়ে তিন কোটি রুপি। আশিকার ওজন কমানোর ক্লাসের ভিডিও প্রশংসিত। আশিকাকে বলা হতো, টিকটক দুনিয়ায় দ্রুতই অন্যতম সেরা হয়ে উঠবেন। অনেকে বলতেন, টিকটক দুনিয়ার এক নম্বর তারকা লরেন গ্রেকেও ছাড়িয়ে যাবেন তিনি।

ভাবিন ভানুশালিকে প্রথম দেখা গিয়েছিল ওটিটি সিরিজ ‘আয়শা : আ ভার্চুয়াল গার্লফ্রেন্ড’-এ। টিকটকে সেরাদের তালিকায় তাঁর স্থান ২০ নম্বরে। তাঁর বার্ষিক আয় আড়াই থেকে তিন কোটি রুপি।

আইআইএইচবি গবেষণায় আরো জানিয়েছে, যাঁদের টিকটকে এক মিলিয়ন ফ্যান ছিল, তাঁরা মাসে অনায়াসে আয় করতেন ৩০ থেকে ৩৫ হাজার রুপি। আর যাঁদের এ সংখ্যা দ্বিগুণ, তাঁরা অনায়াসে আয় করতেন ৫০ হাজার রুপির মতো।