যা সিমরন যা, কর লে আপনি পিএইচডি! সৃজিতের শাহরুখ-স্মরণ
ঘরোয়া আয়োজনে রেজিস্ট্রি করে গত শুক্রবার ওপার বাংলার পরিচালক সৃজিত মুখার্জির ঘরনি হয়েছেন বাংলাদেশের মডেল-অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা। পরদিন শনিবারই মধুচন্দ্রিমা যাপনে পাড়ি দিয়েছেন বরফের দেশ সুইজারল্যান্ডে।
তবে মধুচন্দ্রিমাই একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। সঙ্গে কাজকর্মও সারবেন। আগেই সৃজিত জানিয়েছিলেন, জেনেভার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মিথিলা পিএইচডি রেজিস্ট্রেশন করবেন। আর সে কারণেই মধুচন্দ্রিমার জন্য আল্পস পর্বতঘেরা ওই দেশকে বেছে নিয়েছেন তাঁরা। এক ঢিলে দুই পাখি।
ভারতীয় এক গণমাধ্যমের খবর, গতকাল সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সুইজারল্যান্ডে তোলা মিথিলার সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছেন সৃজিত। তবে ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা ওই ছবির ক্যাপশনটি পড়লে মজা পাবেন পাঠকও। সৃজিত লিখেছেন, ‘যা সিমরন যা, কর লে আপনি পিএইচডি।’
ক্যাপশন দেখে হেসেই খুন নেটিজেনরা। আদুরে বউকে ‘সিমরন’ নামে কেন ডাকলেন সৃজিত? এ নিয়েও নানা জল্পনা, রঙ্গ-রসিকতা।
তবে জেনে নেওয়া যাক, সিমরন-কাহানি। ব্লকবাস্টার হিন্দি ছবি ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’-তে অমরেশ পুরির সেই বিখ্যাত সংলাপ আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। নায়িকা কাজল ওরফে সিমরনের উদ্দেশে এ সংলাপ বলেছিলেন অমরেশ। সেই দুলহানিয়াই যে মিথিলা, তা আর বলতে। সেই মিথিলাই গেলেন পিএইচডি করতে। তবে কি নিজেকে ইঙ্গিতে রাহুল ওরফে শাহরুখই ডাকলেন সৃজিত!
৬ ডিসেম্বর সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন সৃজিত-মিথিলা। এ দিন কালো পাঞ্জাবির সঙ্গে লাল জহরকোট গায়ে চাপিয়েছিলেন সৃজিত। আর মিথিলার পরনে ছিল বাংলার ঐতিহ্যবাহী জামদানি, কপালে ছিল ছোট্ট টিপ। কানে-গলায় ছিল গহনা। এই বিশেষ দিনে মিথিলা পাশে পেয়েছেন মেয়ে আইরাকেও। সৃজিত ও মিথিলার মধ্যমণি হয়ে হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিমায় ছবিও তুলেছে সে।
মিথিলার সঙ্গে সৃজিতের বন্ধুত্ব দিয়ে সম্পর্কযাত্রা শুরু। ধীরে ধীরে প্রেমের পথে পা বাড়ান তাঁরা। বেশ কয়েক মাস ধরেই তাঁদের বিয়ে নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। খবর রটেছিল, আগামী বছরের মার্চে বিয়ে করতে যাচ্ছেন তাঁরা। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে দ্রুতই বিয়ের কাজটা সেরে ফেলেন এ যুগল।