বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাকিস্তানি মডেলের পোশাক নিয়ে সমালোচনা!
১০৭ জন যাত্রী নিয়ে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের (পিয়াইএ) একটি বিমান গত শুক্রবার বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিকটবর্তী জনবসতিপূর্ণ একটি এলাকায় আছড়ে পড়ে। দুর্ঘটনায় নিহত ৯৭ জন যাত্রীর মধ্যে পাকিস্তানি মডেল জারা আবিদও রয়েছেন বলে পত্রপত্রিকার খবরে প্রকাশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফ্রি প্রেস জার্নালের প্রতিবেদনে জানা যায়, গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে জারা আবিদ পাকিস্তানের মডেলিং শিল্পে নতুন ধারার সূচনা করেছিলেন। ২৮ বছর বয়সী এই মডেল সম্প্রতি হাম স্টাইল অ্যাওয়ার্ডসে সেরা নারী মডেলের পুরস্কার জেতেন। তাঁর মৃত্যুর খবর শিরোনামে উঠে এলে ফ্যাশন দুনিয়ার বন্ধুরা গভীর শোক প্রকাশ করেন। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে অনেকেই প্রয়াত এই মডেলের পোশাকের সমালোচনা করতে থাকেন। তাঁরা দাবি করতে থাকেন, জারা ‘মৃত্যু পরবর্তী অধ্যায়ে শাস্তি’র সম্মুখীন হবেন।
সম্প্রতি জারা আবিদের ছবি শেয়ার করে এক নেটিজেন লেখেন, ‘প্লেন দুর্ঘটনার পরে যাঁরা বলছেন তিনি জান্নাতে যাবেন, আমি একজন মুসলিম হিসেবে তাঁদের বলতে চাই, যেসব নারী শরীর প্রদর্শন করেন, আল্লাহপাক তাঁদের পছন্দ করেন না। আর জান্নাত শুধু শুদ্ধ পুরুষ ও নারীর জন্য।’
এ রকম পীড়াদায়ক টুইটে যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভরে উঠেছে, জারার পরিবার তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর সব অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভেট করে দিয়েছে বলে পত্রপত্রিকায় খবর বেরিয়েছে। তবে অনেকেই মানবতার পরিচয় দিয়ে শোক জানাচ্ছেন।
একজন লিখেছেন, ‘এক তরুণী ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মারা গেলেন... আর তিনি জান্নাতি নাকি জাহান্নামি, তা নিয়ে আমাদের দেশ বিতর্কে ব্যস্ত... সিদ্ধান্ত নেওয়ার আপনারা কারা... সহমর্মিতা জানাতে না পারলে কথা বলবেন না।’
‘তাঁর দ্বীন নিয়ে প্রশ্ন করছেন? তিনি শুক্রবার মারা গেছেন ও রমজান মাসে। আল্লাহ পাকের দেখা পেতে এই মহিমান্বিত মাসে লাখো মানুষ স্বপ্ন দেখেন আর তাঁকে বেছে নেওয়া হয়েছে। হ্যাঁ, তিনি পাশ্চাত্য সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত জীবনযাপন করতেন, কিন্তু তাঁর পরবর্তী জীবন নিয়ে এখন এটি কোনো কাজে আসবে না। তিনি এখন ভালো স্থানে আছেন,’ এভাবেই মতামত জানান আরেক নেটিজেন।