‘আঁখ মারে’, ‘দিলবার’, ‘ও সাকি সাকি’ ও ‘গরমি’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের জন্য বিখ্যাত বলিউডের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নেহা কক্কর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাঁর ভক্ত-অনুরাগী অসংখ্য। তাঁর যেকোনো গান প্রকাশ মানেই সুপারহিট।

২০১৬ সালের ২৭ জুলাই ‘মিলে হো তুম’ গানটির রিপ্রাইজ ভার্সন প্রকাশিত হয় জি মিউজিক কোম্পানির ইউটিউব চ্যানেলে। গানটিতে কণ্ঠ দেন নেহা কক্কর ও তাঁর ভাই টনি কক্কর। প্রেমের আবেগ ও বিরহকাতরতার দারুণ প্রকাশ গানটির সুরে। সুরপিয়াসি যেকোনো হৃদয় বিগলিত হবে গানটি শুনে। আর তাই গানটির ভিউ বেড়েছে হু হু করে।

গানটির কথা লিখেছেন টনি কক্কর, সুরও করেছেন তিনি। বাদ্যযন্ত্রে ছিলেন রিদম শ ও কিরণ। মিক্সিং ও আয়োজন আদিত্য দেবের। গানটি প্রযোজনা করেছেন জি মিউজিক কোম্পানির ব্যবসায় প্রধান অনুরাগ বেদি ও মিউজিক ভিডিও পরিচালনা করেছেন গৌরব জ্যাং।

ইউটিউবে গানটি এ পর্যন্ত ভিউ হয়েছে ৯২ কোটি ৮৬ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি। বুঝতেই পারছেন, মানুষের হৃদয়ে কী গভীর দাগ কেটেছে গানটি!

দেখুন ভিডিওতে :

ইনস্টাগ্রামে নেহা কক্করের অনুসারী ৩৮.৪ মিলিয়ন। তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা। তবে নেতিবাচক মন্তব্যও কম পান না। তবে নেহা মনে করেন, তিনি নাম্বার ওয়ান, আর এ কারণেই লোকে তাঁর সমালোচনা বা কটাক্ষ করেন।

কিছুদিন আগে ভারতের বার্তা সংস্থা আইএএনএসকে নেহা কক্কর বলেন, ‘অবশ্যই আমি একজন মানুষ এবং সমালোচনায় আমার খারাপ লাগে, কিন্তু এর পরই আমি ফিরে আসি। আমি অনুভব করি, যাঁরা আমার ব্যাপারে খারাপ কিছু লিখছেন, তাঁরা হিংসুটে মানুষ। তাঁরা ভাবেন, নেহা কেন এখানে? নাম্বার ওয়ান সংগীতশিল্পীর ব্যাপারেই তাঁরা লিখবেন।’

‘তাই আমি বুঝতে পারি, আমি নাম্বার ওয়ান, এ কারণেই মানুষ আমাকে নিয়ে কথা বলে ও ঈর্ষা করে,’ দাবি নেহার। সেই সঙ্গে জানান, তাঁকে অপছন্দ করা লোকদের নিয়ে তিনি চিন্তিত নন। ‘হিংসুটে মানুষের সংখ্যা কম, কিন্তু আমাকে ভালোবাসেন, এমন মানুষের সংখ্যা কোটি কোটি,’ যোগ করেন নেহা।

খুবই অল্প সময়ে নেহা রিমিক্সের রানিতে পরিণত হয়েছেন। ‘রিমিক্স যদি ভালো হয়, তাহলে কোনো সমস্যা নেই, কেননা এটি অনুমতি নিয়েই করা হয়। কিন্তু লোকে ইচ্ছে করেই নেতিবাচক আচরণ করে আর বলে, গানটিকে নষ্ট করে দিয়েছে। এরপর তাঁরা আমার গানটি উপভোগ করে এবং গানের তালে নাচতে থাকে,’ বলেন নেহা।

নেহা সম্প্রতি ইয়ো ইয়ো হানি সিংয়ের সঙ্গে ‘মস্কো সুকা’ শিরোনামে একটি গান গেয়েছেন। এটি পাঞ্জাবি ও রুশ ভাষার মিশ্রণে নির্মিত হয়েছে। গত এপ্রিলে ইউটিউবে মুক্তি পাওয়ার পর গানটি এ পর্যন্ত দুই কোটি ৮৮ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।