নায়িকা মাহির বিরুদ্ধে পরিচালকের নানা অভিযোগ

চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রথম চলচ্চিত্র ‘ভালোবাসার রং’ দিয়ে সিনেজগতে যাত্রা শুরু করেন। চলচ্চিত্রের মন্দার বাজারেও তাঁর পারিশ্রমিক ১২ লাখ টাকা। পোশাকের জন্য আরো দুই লাখ। বেশি পারিশ্রমিক হলেও তাঁকে নিয়েই কাজ করছেন অনেক নির্মাতা-প্রযোজক।
সম্প্রতি পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন জেমী এই নায়িকার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেছেন। ফেসবুকে মাহিকে নিয়ে দিয়েছেন দীর্ঘ পোস্ট। সেখানে কঠোর ভাষায় আক্রমণও করেছেন জেমী।
নায়িকা মাহিকে ‘বস্তির মেয়েদের’ সঙ্গে তুলনা করে প্রযোজক পরিচালক জেমী লেখেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে বলছি, অত্যন্ত ঘৃণিত এবং ন্যক্কারজনক মাহি নামের এই নায়িকার আচরণ। বস্তির মেয়েদের মানসিকতাকেও হার মানায় এই মাহিরা। কিছু কথিত নায়িকা আছে, যারা প্রযোজকদের লুটপাট করে খেতে চায়।’

মাহির চাহিদার শেষ নেই দাবি করে জেমী লেখেন, ‘চরিত্রের জন্য মানানসই নয় তারপরও দামি পোশাকের জন্য টাকা দাবি, অবাস্তব যাতায়াত ভাড়া (এফডিসি থেকে উত্তরা পনেরোশ টাকা, এফডিসি থেকে মগবাজার বারোশ টাকা, উত্তরা থেকে গাজীপুর হোতাপাড়া ৪,০০০ টাকা, এফডিসি থেকে সাভার ৬,০০০ টাকা ইত্যাদি) দুপুরের খাবার, বিকেলের নাশতা, রাতের খাবার, একজন নায়িকার পেছনে চারজন লোক, তাদের আবার যাতায়াত ভাড়া, তাদের তিনবেলা করে পেট পুরে খাওয়ানো, এদের চাহিদা এবং নখরার শেষ নাই।’
মাহির মতো নায়িকাদের জন্য চলচ্চিত্র ছেড়ে গেছেন অনেক প্রযোজক, এমনটা দাবি করে জেমী আরো লেখেন, ‘অথচ এইসব কথিত শিল্পীর ছবি শুক্র পেরিয়ে শনিবার গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে। রোববার তো সিনেমা হল ফকফকা। এসব কারণেই আজ একের পর এক প্রযোজক রাগে-অভিমানে এবং জেদে চলচ্চিত্র ছেড়ে চলে গেছেন।’
মাহিয়া মাহিকে সবশেষ ‘অবতার’ সিনেমায় দেখা গেছে। এ ছবিতে তিনি জুটি বেঁধেছিলেন নবাগত রুশোর সঙ্গে। এখন তাঁর হাতে কোনো সিনেমা নেই।