নওয়াজকে ‘ডিভোর্স নোটিশ’ পাঠিয়েছেন স্ত্রী

বিব্রতকর বিচ্ছেদযুদ্ধের পর বলিউড অভিনেতা নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকি ও তাঁর স্ত্রী আলিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক অবধারিতভাবেই চলে এসেছে আলোচনায়। আর এর একদিনের মাথায় আলিয়া জানিয়েছেন, গত চার-পাঁচ বছর ধরে তাঁরা একসঙ্গে বসবাস করছেন না। বিয়ের পর থেকেই দুজনের মধ্যে সমস্যা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। বিয়ের ১১ বছর পর নওয়াজুদ্দিনকে বিচ্ছেদের কাগজ পাঠিয়েছেন আলিয়া।
ভারতের নিউজ চ্যানেল এবিপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আলিয়া বলেন, ‘১৫ দিন আগে আমি নওয়াজুদ্দিনকে ডিভোর্সের নোটিশ পাঠিয়েছি, কিন্তু লোকে জানে না গত চার-পাঁচ বছর ধরে আমরা আলাদা থাকি। সেপারেশনের পর নওয়াজুদ্দিন বেশির ভাগ সময় আমাদের বাড়ির সামনে ইয়ারি রোডে তার অফিসে থাকে। যা-ই হোক, সে নিয়মিত আমাদের বাড়িতে আসে এবং এ জন্য মানুষের বিশ্বাস, আমরা একসঙ্গে থাকি ও দুজন সুখেই আছি।’ হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
‘বিয়ের পর থেকেই আমরা নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি। নওয়াজুদ্দিন বা তাঁর ভাই, কেউই নারীকে কীভাবে সম্মান করতে হয়, তা জানে না। আমরা যখন কথা বলি, সে কেবলই আমার ভুল ধরতে ব্যস্ত থাকে। এমনকি অন্যের সামনেও সে আমাকে কটূক্তি করে। একটি সম্পর্কে স্ত্রীর যে সম্মান পাওয়ার কথা, সে তা দেয় না। এই সম্পর্কে আমি আমার সব আত্মমর্যাদা হারিয়েছি,’ বলেন আলিয়া।
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ানো প্রসঙ্গে সম্প্রতি আলিয়া টুইট-বার্তায় বলেন, ‘শুরুতেই পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই, কোনো ব্যক্তির সঙ্গেই আমার কোনো সম্পর্কে নেই। আর গণমাধ্যমে আসা এ ধরনের সব দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। মনে হচ্ছে, কোনো কোনো গণমাধ্যম দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নিতে আমার ছবি নিয়ে কারসাজি করেছে।’
সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নওয়াজুদ্দিনের ভাইয়ের বিরুদ্ধে সহিংস আচরণের অভিযোগ আনেন আলিয়া। ‘নওয়াজ আমার গায়ে হাত তোলেনি, কিন্তু চিৎকার ও তর্ক অসহ্য হয়ে উঠেছিল। আপনারা বলতে পারেন, এটিই অবশিষ্ট ছিল। হ্যাঁ, কিন্তু তার পরিবার মানসিক ও শারীরিকভাবে আমাকে প্রচুর অত্যাচার করেছে। তার ভাই আমাকে আঘাত পর্যন্ত করেছে,’ বলেন আলিয়া। আলিয়া আরো বলেন, ওসব কারণেই নাকি নওয়াজের প্রথম স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে গেছেন।