‘পাগলের মতো ভালোবাসি’ ছবিটি সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হলে দুটি দৃশ্য ও একটি গান কর্তন করার পরামর্শ দেওয়া হয় পরিচালককে। অভিযোগ ছিল, ওই দুটি দৃশ্য ও গানটিতে ‘অশ্লীলতা’ রয়েছে।

তবে সেন্সর বোর্ডের ওই ‘আপত্তি’ মানতে নারাজ ছিলেন পরিচালক শাহীন সুমন। তাঁর দাবি ছিল, ওই দুটি দৃশ্য এবং গানের দৃশ্য বা কথায় ‘আপত্তিকর’ কিছু ছিল না। তবে সেন্সর ছাড়পত্র পেতে ‘কিছুটা ছাড়’ দিয়ে সম্প্রতি ছবিটি জনসমক্ষে প্রদর্শনের অনুমতি মিলেছে।

ছবির কর্তিত আইটেম গানটির কথা ছিল এমন—‘দোকান খুলে বসে আছি কাস্টমার নেই/পিরিতের বাজার ভালো না।’ গানের কথাকে আপত্তিকর মনে করেছে সেন্সর বোর্ড। এ ছাড়া সিনেমাটির দুটি দৃশ্য এমন—চামচ দিয়ে চোখ তুলে ফেলা হচ্ছে ও ট্র্যাফিক সিগন্যালে গুলি করে মানুষ মেরে ফেলা হচ্ছে। গানের কথায় দুই লাইন নতুন করে যুক্ত করে আবারও জমা দেওয়া হয়। তবে দৃশ্য দুটি রাখা হয়েছে বলেও জানান শাহীন সুমন।

শাহীন সুমন বলেন, ‘গানের কথায় দুটি লাইন বদল করেছি। আর দৃশ্য দুটি ঠিক রাখা হয়েছে। সেন্সর বোর্ডকে আমি বোঝাতে সক্ষম হই, দৃশ্যগুলো বদল করা হলে ছবির গল্প ঠিক থাকবে না। বিষয়গুলো মেনে নিয়ে ছাড়পত্র দিয়েছে বোর্ড।’

এত দিন পর সেন্সর ছাড়পত্র পেলেও ছবিটি মুক্তি পাবে ঈদের পর, এমনটি জানিয়ে পরিচালক বলেন, ‘আমরা রোজার আগেই ছবিটি মুক্তির চিন্তা করেছিলাম। তবে মুক্তির জন্য কোনো তারিখ না পাওয়ায় ঈদের পর ছবিটি মুক্তির চিন্তা করেছি। তবে কবে বা কোন তারিখে মুক্তি পাবে, তা এখনই বলতে পারছি না।’

শাহীন সুমন পরিচালিত ‘মাতাল’ ও ইস্পাহানী আরিফ জাহান পরিচালিত ‘নায়ক’, এই  দুই ছবি দিয়ে চলচ্চিত্রে নায়িকা হিসেবে অভিষেক হয় অধরা খানের। ২০১৮ সালের অক্টোবরে ছবি দুটি মুক্তি পায়। তবে ‘পাগলের মতো ভালোবাসি’ ছবির মধ্যে দিয়ে ঢালিউডে যাত্রা শুরু করেন অধরা।

সম্প্রতি শাহীন সুমন পরিচালিত ‘পাগলের মতো ভালোবাসি’ চলচ্চিত্রটি সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়েছে। ত্রিভুজ প্রেমের গল্প নিয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্রে অধরার বিপরীতে অভিনয় করেছেন দুই নায়ক, আসিফ নূর ও সুমিত সেনগুপ্ত।

ছবিটি প্রযোজনা করেছে সিক্স ডি প্রোডাকশনস। ছবিটি পরিচালনার পাশাপাশি কাহিনি, চিত্রনাট্য, সংলাপ লিখেছেন পরিচালক শাহীন সুমন। গান লিখেছেন কবির বকুল ও সুদীপ কুমার দীপ এবং সংগীত পরিচালনায় শওকত আলী ইমন ও আহমেদ হুমায়ুন।

‘পাগলের মতো ভালোবাসি’ ছবিতে অধরা, আসিফ নূর ও সুমিত সেনগুপ্ত ছাড়া আরো অভিনয় করেছেন সাদেক বাচ্চু, জয় রাজের মতো অভিনেতা। নৃত্য পরিচালনা করেছেন সাইফ খান কালু ও নুহরাজ।

২০১৬ সালের ২৮ জানুয়ারি, রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় সিনেমাটির মহরত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর কুমিল্লার কোটবাড়িতে গানের দৃশ্যায়নের মাধ্যমে ক্যামেরা খোলেন পরিচালক। তারপর কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সিনেমাটির দৃশ্যধারণ করা হয়।