ঘরে ঢুকেই নাকে হাত পপির!
প্রায় ছয় মাস পর ঢাকায় নিজের ঘরে ঢুকেই তীব্র গন্ধ অনুভব করেন চিত্রনায়িকা পপি। কী হলো, এত গন্ধ কোথা থেকে এলো! মুহূর্তেই নাকে কাপড় চেপে ধরেন। বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পরও গন্ধের উৎস পাচ্ছিলেন না। ফ্রিজের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় গন্ধের তীব্রতা টের পান। তবে কি ফ্রিজে রাখা মাছ-মাংস নষ্ট হয়ে গেল?
আজ মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাদিকা পারভীন পপি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘শর্টসার্কিটে ফ্রিজের লাইন নষ্ট হয়ে গেছে। যে কারণে ফ্রিজ থেকে পচা গন্ধ বেরোচ্ছিল। পুরো ঘর দুর্গন্ধে ভরে গেছে। নাক চেপে ধরি। কোনোভাবে বমি আটকে রাখি।’
গত রোববার খুলনা থেকে ঢাকায় ফেরেন পপি। ছয় মাস পপির ঘর ছিল তালাবন্ধ। মাকড়সার জাল আর ময়লায় ঘরের চেহারাই বদলে গেছে। পপি বললেন, ঘর পরিষ্কার করতেই বুঝি সপ্তাহ চলে যাবে।
আবার নিজের খুলনার গ্রামের বাড়ি থেকে ফেরাটাও ছিল বেদনাদায়ক। সেখানে যৌথ পরিবার। ১৭ বিঘার বিশাল জমিদারবাড়িতে চাচা-চাচি, তুতো ভাইবোনদের কথা বারবার মনে পড়ছে তাঁর। সেখানকার বিশাল পুকুর, বাগান যেন তাঁকে ফের ডাকছে!
পপি বলেন, ‘কীভাবে সময়টা কেটেছে, বুঝতে পারিনি। এত বড় বাড়ির পর ঢাকায় নিজের ঘরে ঢুকে মনে হলো, খোপের ভেতরে ঢুকলাম।’
খুলনায় থাকাকালে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন পপি। বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিয়েছেন। করোনামুক্ত হলেও এখনো শরীর বেশ দুর্বল। তবে কিছুদিনের মধ্যে আবারও কাজে ফেরার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানালেন।
গত মার্চে পরিবারের সবাইকে নিয়ে খুলনার বাড়িতে যান পপি। ঢাকায় ফিরবেন, এমন সময় বাড়ে করোনার প্রকোপ। তাই আর ফেরা সম্ভব হয়নি।
করোনার প্রকোপ শুরুর পর থেকে নিজের গ্রামের নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন পপি। সেসব খবর উঠে এসেছে গণমাধ্যমে।
মডেলিং থেকে চলচ্চিত্রে আসেন পপি। লাক্স-আনন্দ বিচিত্রার সুন্দরী প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরিচিতি লাভ করেন। ১৯৯৭ সালে মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘কুলি’ চলচ্চিত্র দিয়ে রুপালি পর্দায় যাত্রা শুরু করেন। এ পর্যন্ত তিনি ‘মেঘের কোলে রোদ’, ‘কি যাদু করিলা’, ‘গঙ্গাযাত্রা’য় অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তাঁর অভিনীত কয়েকটি চলচ্চিত্র।