ঘরে চিকিৎসা পাবেন শিল্পীরা, জরুরি হলে হাসপাতালে নেবে সমিতি
করোনাভাইরাসের প্রকোপে কাঁপছে বিশ্ব। ঘরবন্দি মানুষ। বন্ধ রয়েছে সরকারি-বেসরকারি প্রায় সব অফিস। দেশে দেশে চলছে লকডাউন। অনেক জায়গায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছাড়া হাসপাতালে রোগী ভর্তি করছে না কর্তৃপক্ষ। এতে বিপাকে পড়েছে সাধারণ রোগীরা।
জরুরি চিকিৎসা দিতে মেডিকেল টিম গঠন করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। চলচ্চিত্রের সব শিল্পী ফোন করেই নিতে পারবেন এই সেবা। তবে কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হবে সমিতির উদ্যোগে।
এ বিষয়ে সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রকোপ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে ঘরে অবস্থান করার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে লকডাউন করা হচ্ছে একের পর এক এলাকা। সাধারণ রোগীরা ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছে না। এমনকি সাধারণ সমস্যা হলে ডাক্তার দেখানোরও কোনো ব্যবস্থা নেই। যে কারণে আমরা মেডিকেল টিম গঠন করেছি। সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ডাক্তার থাকবেন। আমরা একটা নম্বর দিয়ে রেখেছি, শিল্পী সমিতির পরিচয় দিয়ে আমাদের সদস্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে পারবেন ওই নম্বরে ফোন দিয়ে। আমাদের শিল্পীদের তালিকা দেওয়া আছে ডাক্তারের কাছে। শিল্পী তাঁর নাম ও সদস্য নম্বর বললে ডাক্তার মিলিয়ে দেখতে পারবেন, রোগী আসলেই আমাদের সদস্য কি না।’
শুধু চিকিৎসাই নয়, প্রয়োজনে ওষুধও দেওয়া হবে জানিয়ে জায়েদ খান বলেন, ‘প্রাথমিক চিকিৎসার পর যদি এমন হয়, আমাদের শিল্পীরা তার আশপাশে ওষুধ পাচ্ছেন না, তবে সমিতির পক্ষ থেকে আমরা তাঁর বাসায় ওষুধ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করব। তারপরও আমি সব শিল্পীদের অনুরোধ করব, আপনারা ঘর থেকে বের হবেন না। বাসায় থাকুন, সরকারের দেওয়া নিয়ম মেনে চলুন।’
আর অবস্থা গুরুতর হলে? এমন প্রশ্নের জবাবে জায়েদ খান বলেন, ‘আমাদের শিল্পীদের কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন, তবে তাঁকে আমরা সমিতির পক্ষ থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাব। কোন হাসপাতালে, কোন ডাক্তার চিকিৎসা করবেন, সেটাও চিন্তা করতে হবে না কোনো শিল্পীকে। এটা শুধু অসচ্ছল শিল্পীদের জন্য নয়। ফের সবাইকে অনুরোধ করছি, আপনারা বাসায় থাকুন।’
জায়েদ আরো বলেন, ‘আমাদের মধ্যে অসচ্ছল শিল্পী যাঁরা আছেন, তাদের বাসায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠিয়েছি। কোন পরিবারে কত দিনের সামগ্রী লাগবে, আমরা সে হিসাবে পৌঁছে দিচ্ছি। যত দিন করোনাভাইরাসের প্রকোপ থাকবে, তত দিন আমরা শিল্পীদের বাড়িতে এসব পৌঁছে দেব।’