গ্যাংস্টার আবু সালেমের সাবেক প্রেমিকার সঙ্গে ঘুরছেন আজহারউদ্দিন!
তারকাদের জীবনযাপন নিয়ে জনসাধারণের আগ্রহের কমতি নেই। আর তাঁদের হালহকিকত জানান দিতে গণমাধ্যমগুলোও ছুটে চলে নিরন্তর। ভারতের বিনোদনভিত্তিক শীর্ষস্থানীয় একটি পত্রিকা জানিয়েছে, অভিনেত্রী মণিকা বেদি ও সাবেক তারকা ক্রিকেটার মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন ‘বেস্ট ফ্রেন্ড ফরএভার’-এ পরিণত হয়েছেন। তাঁদের প্রায়ই বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে।
ভারতের সংবাদমাধ্যম ফ্রি প্রেস জার্নালের প্রতিবেদনে জানা যায়, এই দুই তারকা সত্যিকার অর্থেই ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছেন এবং একে অপরের সঙ্গে প্রচুর সময় কাটিয়ে ভালো বন্ধন গড়ে তুলেছেন।
বেদির ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে জানানো হয়, আজহারউদ্দিনের সঙ্গে বেদির পরিচয় হয় দুজনের বন্ধু সঞ্জয় নিরুপমের মাধ্যমে। ভারতের হায়দরাবাদে আজহারউদ্দিনের ছেলে আসাদউদ্দিনের বিয়েতেও মণিকা বেদি বিশেষ অতিথি হয়ে যান বলে সূত্রটি জানায়।
নওরিনের সঙ্গে আজহারউদ্দিনের প্রথম বিয়ে ডিভোর্সের আগে নয় বছর অবধি টিকে ছিল। এরপর ১৯৯৬ সালে বলিউড অভিনেত্রী সংগীতা বিজলানিকে বিয়ে করেন তিনি। তবে ২০১০ সালে ওই সম্পর্কেও বিচ্ছেদ আসে।
সাজাপ্রাপ্ত গ্যাংস্টার আবু সালেমের সাবেক প্রেমিকা মণিকা বেদি। দুবাইয়ে একটি শো চলাকালে আবু সালেমের সঙ্গে পরিচয় হয় ‘বিগ বস টু’ প্রতিযোগী মণিকা বেদির। পত্রপত্রিকার খবর, মণিকাকে বলিউড ছবিতে কাজ পাইয়ে দিতে আবু সালেম তাঁর শক্তি ব্যবহার করতেন। মণিকা বলিউড তারকা সঞ্জয় দত্ত, গোবিন্দ ও টুইঙ্কেল খান্না অভিনীত ‘জোড়ি নাম্বার’ ছবিতে অভিনয় করেন।
২০০২ সালে জাল কাগজপত্র নিয়ে প্রবেশের দায়ে পর্তুগালের লিসবন পুলিশ মণিকা বেদিকে গ্রেপ্তার করে। ২০০৫ সালে এই জুটিকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয় এবং এর দুই বছর পর এ অভিনেত্রী জামিনে মুক্তি পান।
২০০৮ সালে বিতর্কিত সুন্দরী মণিকা বেদি ভারতের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস’-এ অংশগ্রহণ করেন। দৃঢ় ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে দর্শকের মন জয়ের পর তিনি রিয়েলিটি অনুষ্ঠান ‘ঝলক দিখলা যা’-তেও অংশ নেন। ‘বিগ বস’-এর পর তাঁকে সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘সরস্বতীচন্দ্র’-তে দেখা যায়।