কেন এত জনপ্রিয় সালমান খান?
‘নায়কোচিত’ বলতে যা বোঝায়, তার সবই বিদ্যমান বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের মধ্যে। ক্রিকেট মাঠে ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক মিলে গেলেই হয় ছক্কা। আর বি-টাউনে রুপালি পর্দায় সালমানের উপস্থিতি মানেই যেন ছবি ধুন্ধুমার হিট। কখনো মারদাঙ্গা অ্যাকশন, কখনো বা ধনীর দুলাল, আবার কখনো প্রেমে দিওয়ানার ভূমিকায় দেখা যায় তাঁকে। কয়েক দশকে সালমান হয়ে উঠেছেন সব মহলের দর্শকের তারকাদের তারকা। তাঁকে সরাসরি ‘ভারতের সংস্কৃতির অংশ’ হিসেবেও আখ্যা দিচ্ছেন কেউ কেউ। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে ভারতীয় সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠলেন সালমান—
বিয়িং (সুপার) হিউম্যান
পর্দায় যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন সালমান। এ যেন বিনোদনের ফুল প্যাকেজ। দর্শককে স্বপ্নের সব মুহূর্ত উপহার দিতে সালমানের তুলনা হয় না। আবার মানুষের পাশে দাঁড়াতেও সালমান অনেকের চেয়ে এগিয়ে। যুক্ত আছেন বেশ কিছু দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।
ধর্মীয়ভাবে নিরপেক্ষ
ভারত এমন একটি দেশ, যেখানে অনেক মত-পথের মানুষের দেখা মেলে। তবে সালমানের চরিত্র বরাবরই ধর্মের ভিন্নতা ও মূল্যবোধকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ বা ‘এক থা টাইগার’ ছবির কথা। সেখানেও এসব গুরুত্ব পেয়েছে।
ওয়ান ম্যান আর্মি
সিক্স প্যাক নিয়ে পর্দায় পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় হাজির হতে দেখা যায় সালমানকে। দুর্দান্ত ভঙ্গিমায় একাই ভিলেনদের কুপোকাত করে থাকেন ‘ভাইজান’খ্যাত এই অভিনেতা । তাই অনেকেই বলে থাকেন ‘ভাইয়ের পক্ষে অসম্ভব কিছু নেই।’
তিনি নাচবেনই
পর্দার সামনে ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আড়ষ্টতা নেই সালমানের। যেকোনো কিছু করতে গিয়ে সাধ্যের সবটুকু ঢেলে দিতে জানেন তিনি। অনেকের মতে, নাচে খুব একটা পারদর্শী নন সালমান। তবে সে কথা কানে তুলতে নারাজ ভাইজান। বরং নিজের নাচের জেল্লা সবাইকে দেখাতে তিনি নাচবেনই। আর তা দেখে আপনি অনুপ্রাণিত হবেন অবশ্যই। কেননা, নিজের কাজে চেষ্টার সবটুকু উজাড় করে দেওয়াই শিল্পীর পরিচয়।
ভারত ও পাকিস্তানের মেলবন্ধন
সিনেমার গল্পে সীমান্তের ওপারে যেতে কখনো টানেল খুড়তে দেখা যায় সালমানকে। আবার কখনো কখনো তাঁকে আইএসআই এজেন্টের ভূমিকায় দেখা যায়। যদিও এ সবই ছবির দৃশ্য, তবে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে মেলবন্ধন তৈরিতে অনবদ্য ভূমিকা রাখে এসব ছবি।
পুরুষোচিত সালমান
সিক্স প্যাক, খুনে চোখ, ভারী কণ্ঠস্বর ও নজরকাড়া আচরণ—এসব মিলেই সালমান। তাঁর পুরুষালি চলাফেরায় মুগ্ধ অগণিত ভক্ত-অনুরাগী। অনেককেই দেখা যায় তাঁকে অনুকরণ করতে।
দুর্দান্ত সংলাপ
সালমানের মুখ দিয়ে সব সময়ই অনবদ্য সংলাপ বের হয়ে আসে। আপনি তাঁকে ভালোবাসেন বা না-ই বাসেন, তাঁর সংলাপকে আপনার ভালোবাসতেই হবে। তাঁর অভিনীত প্রত্যেকটি ছবিতেই রয়েছে দীর্ঘবছর মনে রাখার মতো বেশ কিছু সংলাপ।
বলা চলে, সালমান খান এখন কেবল একটি নাম নয়, অনুভূতিও বটে। সবাই দর্শকের হৃদয়ের গহীনে ঠাঁই করে নিতে পারেন না, কিন্তু সালমান তা পেরেছেন বেশ ভালোভাবেই। তিনি যখন খুশি দর্শককে হাসান, কাঁদান, রোমাঞ্চিত করেন। আর বাস্তবে তাঁর দানশীলতার কথা কে না জানেন। তাই সালমানকে অনায়াসেই ভারতের সংস্কৃতির অংশ বলেন প্রশংসাকারীরা।