করোনার প্রকোপ যত দিন, শিল্পীরা খাদ্য-চিকিৎসা পাবে তত দিন
জনজীবন থেকে শুরু করে বিনোদন দুনিয়ায় সবার স্বস্তি কেড়ে নিয়েছে নভেল করোনাভাইরাস। কমে গেছে নির্মাতা-শিল্পীদের কাজ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মানবসভ্যতার সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে এসেছে কোভিড-১৯।
দেশে দেশে চলছে লকডাউন, ঘরে বন্দি মানুষ। তবু প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। আক্রান্ত বাড়ছে প্রতি মিনিটে। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছে মানুষ। অন্য সব লড়াই হাতে হাত রেখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে করতে হলেও এ লড়াই একটু ভিন্ন রকম। ছোঁয়াচে এ রোগের বিস্তার ঠেকাতে হলে সামাজিক দূরত্বের বিকল্প নেই। তাই এ লড়াইয়ের একটাই স্লোগান ‘ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন’।
চলচ্চিত্রের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অস্বচ্ছল কিংবা নিম্ন আয়ের শিল্পীরা কষ্টে দিন যাপন করছেন। এ ছাড়া কয়েকদিন পরই পবিত্র রমজান শুরু। অনেকেই রমজানের বাজার করতে পারবেন না বলে শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী শিল্পীদের বাসায় পৌঁছে দেওয়া হবে। বাসায় বসেই তাঁরা পাবেন চিকিৎসা। শুধু রোজা বা ঈদ নয়, করোনার প্রকোপ যত দিন থাকবে, শিল্পীরা বাসায় বসে খাদ্য-চিকিৎসা পাবেন, এমনটি এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। তাঁর সঙ্গে একই সুরে কথা বললেন সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর।
এ বিষয়ে মিশা সওদাগর বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে শিল্পীরা বিপাকে পড়েছেন। এরই মধ্যে আমরা অস্বচ্ছল শিল্পীদের একাধিকবার সহযোগিতা করেছি। এ সহযোগিতায় যাঁরা এগিয়ে এসেছেন, তাঁদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।’
জায়েদ খান বলেন, ‘কয়েকদিন পরই পবিত্র রমজান। অস্বচ্ছল শিল্পীদের পাশাপাশি অনেক শিল্পীর টাকা থাকা সত্ত্বেও বাইরে বের হতে পারছেন না। তাই আমরা উদ্যোগ নিয়েছি, রোজার আগে শিল্পীদের বাসায় খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দেব। ঈদের সময়ও আমরা একই কাজ করব। শুধু তা-ই নয়, করোনার প্রকোপ যত দিন থাকবে, শিল্পীরা বাসায় বসে খাদ্য-চিকিৎসা পাবেন। এরই মধ্যে আমরা শিল্পীদের ঘরে বসে চিকিৎসা নেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।’
এর আগে জরুরি চিকিৎসা দিতে মেডিকেল টিম গঠন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। চলচ্চিত্রের সব শিল্পী ফোন করেই নিতে পারছেন এই সেবা। তবে কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হবে সমিতির উদ্যোগে।