মানুষের পাশে দাঁড়ানোর শিক্ষা পেয়েছি পরিবার থেকে : নিপুণ
করোনার প্রকোপে নিম্ন আয়ের চলচ্চিত্রকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন নিপুণ। বিচ্ছিন্নভাবে নয়, পুরো চলচ্চিত্র অঙ্গনের কর্মীদের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এই চিত্রনায়িকা। সংকটে মানুষের পাশে থাকার এ শিক্ষা পারিবারিকভাবে পেয়েছেন নিপুণ।
এরই মধ্যে তিন হাজার শিল্পী ও কলাকুশলীকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর পাশাপাশি বিএফডিসির সব সংগঠনকে দিয়েছেন বড় অঙ্কের আর্থিক অনুদান।
স্টেজ শো বা সিনেমা, যাঁরা নায়ক-নায়িকাদের পেছনে নাচেন, তাঁরা মূলত বিভিন্ন নৃত্য পরিচালকের নিজস্ব দলে কাজ করেন। আমাদের দেশেও এমন বেশ কয়েকটি দল রয়েছে। গতকাল বুধবার এমন ছয়টি গ্রুপের তিন শতাধিক শিল্পীকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়েছেন নিপুণ। মুঠোফোনে টাকাও পাঠাচ্ছেন অসচ্ছল শিল্পীদের।
গতকাল লাইলাতুল কদরের দিনে জন্মস্থান কুমিল্লার গ্রামে ১৭০ জনের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছিলেন নিপুণ। এমনকি সতর্কতা অবলম্বন করে বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। পরিবার থেকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর শিক্ষা পেয়েছেন বলে জানান নিপুণ।
নিপুণ বলেন, ‘১৭ বছর ধরে আমি নিজের গ্রামের সব মানুষের জন্য চ্যারিটি করে আসছি। প্রতি বছরই আমরা কেউ না কেউ গ্রামের বাড়িতে যাই। আর নিয়মিত তো খোঁজখবর রাখাই হয়। গত ২৩ বছর গ্রামে আমরা একটি মসজিদ, একটি মাদ্রাসা ও একটি এতিমখানা পরিচালনা করি। আমার বাবা এগুলো প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বাবার অবর্তমানে এখন আমি এগুলোর দায়িত্ব নিয়েছি। মাদ্রাসার ছোট ছোট হাফেজগুলোর কথা শুনলে আনন্দে আমার চোখে পানি চলে আসে। আজ জাকাতের লিস্ট করছি, ইনশা আল্লাহ দুয়েকদিনের মধ্যেই পাঠানোর ব্যবস্থা করব।’
নিপুণ আরো বলেন, ‘পরিবার থেকেই মানুষের পাশে দাঁড়ানোর শিক্ষা পেয়েছি আমি। আমার দাদা হজ করেছেন, যখন বাংলাদেশ থেকে ফ্লাইটের ব্যবস্থা ছিল না, জাহাজে করে হজে যেতে হতো। আমার দাদা মক্কাতেই মারা গেছেন, ওখানেই উনাকে কবর দেওয়া হয়েছে। আমার দাদা ছিলেন দানশীল মানুষ, সব সময় মানুষের সাহায্য-সহযোগিতা করতেন। আমার বাবা সচিব ছিলেন। তিনিও অত্যন্ত সৎ ও দানশীল ছিলেন। গ্রামের মানুষ এখনো আমার বাবার কথা ভোলেননি। ছোটবেলা থেকে আমি এসব দেখেই বড় হয়েছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেন মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি।
‘রত্নগর্ভা মা’ চলচ্চিত্র দিয়ে ঢালিউডে যাত্রা শুরু হলেও ছবিটি এখনো মুক্তি পায়নি। তাঁর অভিনীত ‘পিতার আসন’ প্রথম মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্র। এ পর্যন্ত দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন নিপুণ।