মধুমিতা সিনেমা হলে চালু হচ্ছে ই-টিকেটিং
প্রযোজকরা টাকা ফেরত পাচ্ছেন না, যে কারণে কমছে সিনেমার সংখ্যা। টাকা না পাওয়ার অন্যতম কারণ, কত মানুষ সিনেমা দেখছে, তার সঠিক হিসাব পাচ্ছেন না প্রযোজক। ই-টিকেটিং হলে সঠিক হিসাব ও টাকা পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন অনেক প্রযোজক।
ঢাকা শহরের ঐতিহ্যবাহী সিনেমা হল মধুমিতা। আগামী মাস থেকে সিনেমা হলে ই-টিকেটিং চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হলটির কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ।
এনটিভি অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘মধুমিতায় ডলবি ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ, বাথরুম সুবিধা অধুনিকীকরণ করতে আমরা গত এক বছর কাজ করেছি। এবার শুরু করছি ই-টিকেটিং। বাংলাদেশে এই প্রথম কোনো সিনেমা হলে এ ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। বর্তমানে দেশের সিনেপ্লেক্সগুলোতে ই-টিকেটিং রয়েছে। এরই মধ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি। আশা করি, আগামী মাস থেকে ই-টিকেটিং চালু হবে।’
প্রযোজকরা টিকেটের সঠিক হিসাব না পাওয়া নিয়ে নওশাদ বলেন, ‘আসলে এমন অভিযোগ অনেক আগে থেকেই। তবে আমার জানামতে, ঢাকার ভেতর এমন হয় না। তার পরও আমি মনে করি, ই-টিকেটিং হলে এমন অভিযোগ করার কোনো সুযোগ থাকবে না। তা ছাড়া আমাদের সিনেমা হলে চারজন আছেন, যাঁরা টিকেট কাউন্টারে বসে টিকেট বিক্রি করেন। ই-টিকেটিং হলে আমাদেরও কিছুটা খরচ কমবে।’
১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সিনেমা হলটি এখনো ঢাকার সিনেমা দর্শকের অন্যতম আকর্ষণ কেন্দ্র। হলটিতে বর্তমানে একটি প্রদর্শনী কক্ষের মাধ্যমে সিনেমা দেখানো হয়, যাতে একসঙ্গে এক হাজার ২০০ জনের মতো দর্শক সিনেমা উপভোগ করতে পারেন। এই সিনেমা হলে সাধারণত বাংলা ও ইংরেজি ছবি দেখানো হয়।
মধুমিতায় রয়েছে ডলবি ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম, যা সিনেমা দেখার আমেজ বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে। সাধারণ কর্মদিবসে প্রতিদিন চারটি শো অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে মধুমিতায় অগ্রিম টিকেট বুকিং দেওয়ার সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়া শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ, বাথরুম সুবিধা, পার্কিং ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে এখনো হলটি ঢাকাই সিনেমা দর্শকের অন্যতম পছন্দের গন্তব্য।